রবিবার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে শিক্ষামন্ত্রী যোগ দিতে এসে বলেন, শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ এবার থেকে বদলির ক্ষেত্রে উপযুক্ত শূন্যপদ থাকলে ওই জেলার বাসিন্দা মহিলাদের বদলির আর্জিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে ৷ শিক্ষিকাদের বদলির পরই শিক্ষকদের আর্জি বিবেচিত হবে ৷
advertisement
অন্যদিকে, কাজে যোগ দেওয়ার ৫০ দিনের মধ্যেই নিজের সুবিধা মতো জেলায় বদলির আবেদন করে ফিরতে চান অনেকে ৷ সেই দিকেও নজর রাখবে শিক্ষা দফতর ৷
প্রাথমিক শিক্ষকের বদলি নিয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টি ব্যাখা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রাথমিক শিক্ষকরা অনেকেই শূন্যপদ বেশি থাকার জন্য নিজের জেলা ছেড়ে অন্য জেলা থেকে আবেদন করেছিলেন ৷ কাউন্সেলিংয়ের পর আবেদন করা জেলার স্কুলেই পোস্টিং পেয়েছে ৷ এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, চাকরিতে যোগ দিয়েই অনেকে পোস্টিং বদলাতে চান ৷ তাতে অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় নিয়োগে ৷ সেই প্রবণতা আটকাতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে শিক্ষকরা স্থিতু হওয়া পর্যন্ত বদলির আবেদন করা যাবে না ৷
শুধু পরীক্ষায় পাশ নয়, শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য দরকার আরও এক ‘সার্টিফিকেট’
একইসঙ্গে নব নিয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, ‘কোনও দাদা বা বড় কাউকে’ ধরেও বদলি হবে না ৷
অন্যদিকে, বদলির এই জটিল প্রক্রিয়াকে সরল করতে ইতিমধ্যেই একটি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার ৷ বিধানসভায় পেশ হওয়া সংশোধন অনুসারে এবার থেকে শিক্ষকদের বদলির ক্ষমতা দেওয়া হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হাতে ৷ এর ফলে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া অনেক সহজ হবে ৷ এতদিন শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত ছিল পরিচালন সমিতি হাতে ৷ এবার থেকে সেই সিদ্ধান্ত নেবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৷ এর ফলে রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে স্বজনপোষণের সমস্যাও কমবে বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, শিক্ষক বদলিও করবে পর্ষদ ৷ পরিচালন সমিতি আর বদলি করবে না ৷ শিক্ষিকাদের অনেক সময় অনেক অসুবিধা থাকে ৷ পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে অনেক সময় বদলির আবেদন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ৷ মিউচুয়াল বা সাধারণ বদলি চালু থাকবে ৷’
এখানেও শেষ নয় ৷ এদিন শিক্ষামন্ত্রীর কথায় শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়ার একাধিক সংস্কারের ইঙ্গিত মিলল ৷