পুলিশ সূত্রে খবর, ছ বছর আগে বিয়ে হয় ওই দম্পতির৷ তাঁদের একটি চার বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে৷
বুধবার সকালে নিউ টাউনের সাহা মার্কেট এলাকার ওই গেস্ট হাউজে এক মহিলাকে খুনের খবর আসে পুলিশের কাছে৷ পরে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রীকে খুন করার বিশ্বজিৎ নিজেই ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন৷
জেরায় ধৃত যুবক দাবি করেছেন, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা অনেক দিন আগেই জেনেছিলেন তিনি৷ সেই কারণেই মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেতেন স্ত্রী৷ বার বার স্ত্রীকে উত্তর দিনাজপুরে এসে দেখা করতে বলেছিলেন বিশ্বজিৎ৷ কিন্তু তাতে রাজি হননি ইতিকা৷
advertisement
শেষ পর্যন্ত সোমবার নিউ টাউনের ওই গেস্ট হাউজে এসে ইতিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিশ্বজিৎ৷ শপিং করিয়ে দেওয়ার জন্য পয়তাল্লিশ হাজার টাকা তিনি নিয়ে এসেছেন বলে স্ত্রীকে টোপ দেন বিশ্বজিৎ৷ এর পরই আসানসোল থেকে নিউ টাউনের ওই গেস্ট হাউজে চলে আসেন ইতিকা৷
বিশ্বজিৎ জেরায় দাবি করেছেন, নিউ টাউনের গেস্ট হাউজে আসার পর বার বার স্ত্রীকে বিবাহবহির্ভূত সব সম্পর্ক ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে সংসার করার জন্য বোঝান তিনি৷ কিন্তু তাতে রাজি হননি ইতিকা৷ এর পরই স্ত্রীর গলায় বেল্টের ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুন করেন বিশ্বজিৎ৷ খুনের পর নিজেই ১০০ ডায়ালে ফোন করে পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানান তিনি৷