ভাড়াটিয়াদের সমস্ত নথি রাখতে হবে, এমনকি কোনও ড্রাইভার, পরিচারিকা ও আয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। রাখতে হবে আধার কার্ড, ফোন নম্বর সহ আরও বাকি তথ্যও। সরাসরি পুলিশকে কীভাবে মালিকপক্ষ সেই তথ্য দেবেন সেই বিষয়েও আজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সূত্র মারফত এমনই খবর।
এর আগে পাটনা থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতি গুলি কাণ্ড ঘটিয়ে বাংলায় এসে ঘাঁটি গড়ার পরে তাদের পাকড়াও করে বিহার ও কলকাতার এসটিএফ। এই ঘটনার পর এয়ারপোর্ট থানা বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল ওই এলাকার হোটেল, গেস্ট হাউস ও লজের জন্য।
advertisement
সেইবার বলা হয়েছিল যে গেস্ট হাউস , হোটেল , লজের জন্য এই নিয়মগুলি বাধ্যতামূলক। সেই নিয়মে বলা হয়েছিল,
১.) SARAI লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। ২.) অতিথিদের আই ডি চেক করতেই হবে। তাদের কাছে ভোটার কার্ড , আধার কার্ড নিতে হবে। নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিলাপ করে তবেই রুম দিতে হবে অতিথিদের।
৩.) ভীন রাজ্য থেকে কেউ এলে সেই বিষয়ে আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়ে রাখতে হবে নতুন তৈরী করা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে।
৪.) ভীন রাজ্য থেকে আসা বা কোনও অতিথি কার্যকলাপ স্বাভাবিক না লাগলে, আগে থেকেই নতুন তৈরী করে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানাতে হবে কর্তৃপক্ষদের।
৫.) অভিভাবক ছাড়া কোনও নাবালক যদি হোটেল ভাড়া নেয় তাহলে ভাড়া দেওয়া যাবে না।
৬.) গেস্ট হাউস , হোটেল , লজে সি সি টিভি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সিসিটিভিতে দু মাসের ফুটেজ স্টোর রাখার ক্ষমতা যেন থাকে সে বিষয়ে কড়া জানিয়ে দেয় পুলিশ।
৭.) একই সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, প্যানিক বোতাম ও প্রাথমিক চিকিৎসার মতো নানান প্রোটোকল রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
নিউটাউনে পাটনার খুনিদের আস্তানা ও খোঁজ মেলার পর হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউজের নিয়মে কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন।