পরিকল্পনা অনুযায়ী সিভিল কনস্ট্রাকশনের জন্য সাইট তৈরি করতে পুরনো পরিকাঠামো ভেঙে ফেলা ও সামনের দিকের রিটেইল এরিয়া -সহ নতুন স্থানে অফিস স্থানান্তর করা হচ্ছে।অ্যারাইভাল ১ টার্মিনাল ও সেকেন্ডারি স্টেশন বিল্ডিঙের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অ্যারাইভাল ২ এবং ডিপার্চার টার্মিনালের কাজও দ্রুত শুরু হবে। ইউটিএস কাম পিআরএস কাউন্টার রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন-এর রেস্ট হাউসের নিকটে রামনগর কলোনি রোডের একটি নতুন স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
advertisement
সাইট অফিস ও কনফারেন্স রুম ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। উঁচু রাস্তার জন্য টেস্ট পাইলের ঢালাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরের মতো অনুভূতি ও আরাম প্রদানের লক্ষ্যে স্টেশনটির জন্য বৃহৎ আকৃতির কভার পার্কিং এরিয়া, ২৪X৭ পাওয়ার ব্যাকআপ, পানীয় জল, এয়ার-কন্ডিশনড লবি, অফিস, দোকান, দ্রুতগতির এসকেলেটর, লিফ্ট, এয়ার কনকোর্স, হোটেল ইত্যাদির মতো অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাযুক্ত ডিজাইন করা হয়েছে। আগমন ও প্রস্থানরত যাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।
উন্নয়নমূলক কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বর্তমানের দিন প্রতি ছত্রিশ হাজার যাত্রী সমাবেশ থেকে দিন প্রতি সত্তর হাজারেও অধিক যাত্রী সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্টেশনটি তৈরি হবে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সামগ্রিক উন্নয়নমূলক কাজের আনুমানিক ব্যয় ৩৩৪.৭২ কোটি টাকা।নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যতম একটি বড় ও ব্যস্ত একটি রেলওয়ে স্টেশন, যা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে চলেছে।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়নের ফলে উত্তর বঙ্গের পাশাপাশি সিকিমের ভ্রমণ, পর্যটন ইত্যাদি সহ স্থানীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খণ্ডের উন্নয়নে সহায়ক হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে।