#কলকাতা: সারা বিশ্বজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৩৫ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত মৃত্যু ৫১৮ জনের। তবে এরই মাঝে স্বস্তির খবর যে ৭ হাজার করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবারের অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছিল তা অত্যন্ত নিম্নমানের এবং কম পরিমাণে দেওয়া হচ্ছিল বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের, যাঁরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁদের সারাদিনের খাবারের বরাদ্দের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করল।
advertisement
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাতে দু'বেলাই থাকবে মাছ-মাংস। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সারাদিনের খাবারের বরাদ্দ বাড়াল রাজ্য সরকার। মাথাপিছু প্রতিদিন ১৫০ টাকার খাবার পারেন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত রোগীরা। এই টাকায় কী, কী, খাবার, কখন, কখন দেওয়া হবে, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট বলে দেওয়া হল।পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেওয়া হবে প্যাকেটজাত খাবারও। যাতে খাবারে কোনও কারচুপি না করা যায়। এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, সকালে কী কী খাবার কত পরিমাণ দিতে হবে। দুপুরের খাবারে ভাত কত গ্রাম চালের থাকবে, ডাল কত গ্রাম থাকবে, মাছ বা মাংসের ওজন কত গ্রাম হবে। সেইসঙ্গে দুপুরে সবজি ও দই-ও দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। একইভাবে বলা হয়েছে, রাতে রুটি অথবা ভাত, রোগী যেটা পছন্দ করবেন, তাই দেওয়া হবে। তার সঙ্গে মরশুমি সবজি, ১০০ গ্রাম মাছ বা মুরগির মাংস। এককথায় সরকারি করোনা হাসপাতালে আরও উন্নতমানের খাবার দেওয়ার নির্দেশ সরকারের।
একনজরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বরাদ্দ খাবারের মেন্যু:
ব্রেকফাস্ট : ৪টি রুটি, ১টি করে ডিম, কলা,২৫০ মিলি দুধ।
লাঞ্চ : ১০০ গ্রাম সরু চালের ভাত , ডাল ৫০ গ্রাম, সবজি, ৮০-৯০ গ্রাম মাছ বা মাংস এবং দই।
ডিনার : ভাত বা রুটি, ডাল, সব্জি, ১০০ গ্রাম মাছ বা মুরগির মাংস।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ডিন আশিষ মান্না বলেন, "আমরা যা খাবার দিচ্ছিলাম সেখানে পুষ্টির দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বরাদ্দ বাড়ানোয় আমাদের পক্ষে আরও বেশি ভাল খাবার রোগীদের দেওয়া সম্ভব হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তোলার জন্য চেষ্টার কোনও খামতি রাখা হবে না।"