কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে একের পর এক মামলা হয়েছে আদালতে। তাই নিয়ে আদালত একটি স্পষ্ট নির্দেশিকাও দেয়। রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, বিরোধী দলনেতা-সহ মোট তিন সদস্য নিয়ে একটি নজরদারি কমিটি গঠন করে দেয় আদালত। পাল্টা সেই কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একাধিক মামলা হয়। সেই মামলার রায়েই নতুন করে নির্দেশিকা দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন - দেশে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার, মৃত্যু ২৭৭ জনের
মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুই সদস্য নিয়ে নতুন করে মেলার নজরদারি কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটির সদস্য হিসাবে থাকবেন প্রাক্তন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যের লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য। মেলা নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে এই কমিটি। কোনওরকম নিয়ম বিরুদ্ধ কিছু হলে, সরকারকে মেলা বন্ধের নির্দেশিকাও দিতে পারবে। পুরো বিষয়টিই খেয়াল রাখবে এই কমিটি। এ ছাড়া কোভিড বিধি আরও কড়া করারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন - 'দ্বিচারী কংগ্রেস', জাগোবাংলায় চণ্ডীগড় পুরনিগমের ফল নিয়ে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, করোনার দুটি টিকা থাকলে ও ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে সবেই সাগর দ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। সাগরে ঢোকার মুখে তীর্থযাত্রীদের এই দুই বিষয়ের নথি পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা করে দেখার পরই ছাড়পত্র দেওয়া হবে সাগরে ঢোকার। এ ছাড়া সাগর দ্বীপকে নোটিফায়েড এলাকা হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। রাজ্য সরকারকে হাই কোর্টের দেওয়া শর্ত পালন করার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। এগুলি কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে মুখ্যসচিবকে। মুখ্যসচিব গোটা পরিস্থিতির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবেন। তাঁকেই সব দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়ম ভাঙা হলেও তার দায় নিতে হবে মুখ্যসচিবকে।
Arnab Hazra