কমিটিতে থাকছেন এসএসকেএম হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ। কলকাতা মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ মিহির সরকার, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসক ভাস্বতী ব্যনার্জী, সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ তথা ভাইরোলজিস্ট বিভূতি সাহা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ মৌসুমী নন্দী।
আরও পড়ুন-শিশুদের মধ্যে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ! জলপাইগুড়ির গণ্ডী ছাড়াল অজানা জ্বর...
advertisement
গত তিন চার দিনে ধরেই হু হু করে জ্বরের প্রকোপ (Child Fever) বাড়ছে বাংলায়। নতুন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি। স্বাস্থ্য দপ্তর আশ্বাস দিয়ে বলছে করোনা নয় এটা ভাইরাল ফিভার। বলা হচ্ছে একটা বড় অংশই রেসপিরেটরি সেনসিটায়াল ভাইরাস বা আরএসভি-তে আক্রান্ত।
তাছাড়া ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি সোয়াইন ফ্লু-ও ছড়াচ্ছে। এনআরএস, কলম্বিয়া এশিয়া, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ, আমরি মুকুন্দপুর বা পিয়ারলেস হাসপাতালের শিশু ভর্তি (Child Fever) হচ্ছে লাগাতার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন মূলত দুটি কারণে শিশুরা এভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। একদিকে যেমন ঘনঘন আবহাওয়া পরিবর্তন শিশুদের অসুস্থ করছে। রূপ বদলাচ্ছে ভাইরাস। অন্য দিকে বহু শিশুই করোনা অতিমারির কারণে নিয়মমাফিক টিকা গুলি নিতে পারেনি। ফলে তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এর সঙ্গে করোনার কোনও যোগ নেই।
চিকিৎসক সুমিতা সাহা (শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ) বলছেন, গত ৪ সপ্তাহ ধরে প্রচুর শিশু আসছে জ্বর নিয়ে, সঙ্গে সর্দি-কাশি, মাথাযন্ত্রণা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। বেশির ভাগেরই ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়ছে।
সুমিতাদেবীই আরেকটি দিকের কথা তুলে ধরলেন। তিনি বলছেন, বেসরকারি ক্ষেত্রে রেস্পিরেটরি প্যানেল বলে একটি পরীক্ষা করা হয়, এতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মাধ্যমে ৩৪ রকমের ভাইরাসকে চিহ্নিত করা যায়। সরকারি ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হয় না।