কিন্তু হঠাৎ কেন অবস্থান বদল? বার্লার মুখে 'এই মুহূর্তে' শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি ছক করে 'ঠিক সময়েই' উত্তরবঙ্গ নিয়ে ফের সরব হবেন তিনি? তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। যদিও বার্লাকে মন্ত্রী করার ক্ষেত্রে তৃণমূল যে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি একটা অদ্ভুত রাজনৈতিক দল। তারা এমন একজনকে উত্তরবঙ্গ থেকে মন্ত্রী করেছে, যিনি বাংলা ভাগ চান। পাহাড় নিয়ে আগেও এই ধরনের মদত দেওয়া হয়েছে।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, গত মাসেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হন বার্লা। বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণবঙ্গ সবসময় উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করে এসেছে৷ এখানকার রাজস্ব দক্ষিণবঙ্গে চলে গিয়েছে৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষ এর কোনও সুফলই পাননি। সেই কারণেই আমি উত্তরবঙ্গের পৃথক রাজ্যের মর্যাদা চাইছি৷ আমার বিশ্বাস, তা হলেই এখানকার মানুষ খুশি হবে এবং প্রকৃত উন্নয়ন হবে৷ সংসদের অধিবেশন শুরু হলেই আমি এই দাবি জানাবো৷’’ তাঁর এমন মন্তব্যের পর রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামে তৃণমূল। জনের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। বিজেপি অবশ্য বলে আসছিল, এ মন্তব্য সাংসদের একান্তই ব্যক্তিগত মত। তবে, তাঁর অভিযোগ সত্য। এমন দোলাচলের এক অবস্থান থেকে এবার মন্ত্রী হলেন বার্লা। তারপরই তাঁর অবস্থান বদল নতুন করে জল্পনা তৈরি করতে শুরু করল।
যদিও জন বার্লার নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তীব্র কটাক্ষ করেছে মোদি সরকারকে। তাঁর কথায়, 'ওরা কাকে মন্ত্রী করবে, কাকে সান্ত্রি করবে, কাকে তুলে ধরবে, কাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে, সেটা ওদের দলের বিষয়৷ বিজেপি দলটা নিজেরাই সবথেকে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী৷ মানুষের যখন বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়, তখনই এই সব শক্তিকে খুঁজে বেরায়৷ কিন্তু এই সব শক্তি পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়৷ এরা কোনও কাজে লাগবে না৷ এতে বড়জোড় বিজেপি সন্তুষ্ট হতে পারে, কিন্তু মানুষের কোনও কাজে লাগবে না৷'