দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গ্রানাইট মূর্তি বসার কথা ছিল। সেই মূর্তি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ‘হলোগ্রাম স্ট্যাচু’-র ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে জানানো হয়েছিল, সব ঠিক থাকলে চলতি ১৫ অগাস্ট রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ইন্ডিয়া গেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধন হতে পারে নয়া নেতাজি মূর্তির। মূর্তি শিল্পী অরুণ যোগীরাজ জানিয়েছিলেন, স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই শেষ হবে কাজ। মাইসোরের বাসিন্দা বিখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ ৩০ ফুট দীর্ঘ নেতাজি মূর্তি নির্মাণ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন-খেলা হবে দিবসের দিন রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস
পূর্বের অমর জওয়ান জ্যোতির পিছনে বিশাল ছাউনির নীচে ইন্ডিয়া গেটে স্থাপন করা হবে মূর্তিটিকে। এমনভাবে বসানো হবে মূর্তি, যাতে করে সেটি রাইসিনা হিলস থেকেও দেখা যায়। নেতাজির ১২৫তম জন্ম বার্ষিকীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা করেন ইন্ডিয়া গেটে দেশনায়কের মূর্তি স্থাপনের কথা। তিনি ট্যুইটও করেছিলেন। আগেই জানা গিয়েছিল, বিশালাকার মূর্তিটি তৈরির সঙ্গে রয়েছেন প্রখ্যাত ভাস্কর অদ্বৈত গদানায়কও। ন্যাশনাল মডার্ন আর্ট গ্যালারির পরিচালক অদ্বৈত গদানায়ক ও তাঁর দল গ্রানাইট পাথরের বিশাল মূর্তিটির মূল আঙ্গিক তৈরি করেছেন।
জানুয়ারি মাসে অদ্বৈত গদানায়ক জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি মূর্তি স্থাপনের কথা ঘোষণা করা মাত্র কাজ শুরু হয়েছে। নেতাজির ঋজু চরিত্রকেই তুলে ধরা হবে পাথরের অবয়বে। তবে মূর্তিটির মূখমণ্ডল খোদাইয়ের কাজ করবেন অরুণ যোগীরাজ। তিনি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। উল্লেখ্য, এর আগে আদি শঙ্করাচার্যের ১২ উঁচু মূর্তি গড়েন অরুণ। যেটিকে কেদারনাথে স্থাপন করা হয়েছে। যা গত বছর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে মূর্তি নির্মাণের জন্য বিরাটাকার গ্রানাইট পাথর তেলেঙ্গানা থেকে দিল্লিতে আনা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ১৫ অগাস্টের মধ্যে নিজের কাজ শেষ করবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-Amazon-এ জালিয়াতি; বন্ধ হল ১৩ হাজার পাকিস্তানি বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট
কেন্দ্রের এই আচরণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘নেতাজির মূর্তি বসানো হবে বলেছিল ২১ জানুয়ারি। সারা দেশ জুড়ে দাবি উঠেছিল নেতাজির ১২৫ তম জন্মবর্ষে নেতাজির মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে বসানো হোক। কেন্দ্র বলল মূর্তি বসবে ইন্ডিয়া গেটে ৷ একটা হলোগ্রাম মূর্তি বসানো হয়েছিল। যদিও তা উধাও হয়ে গেল। দেশের মানুষ অপেক্ষা করেছেন এটা জানতে নেতাজির মূর্তি বসানো হবে। কিন্তু বসানো হল না। দেশের মানুষ নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানান, ভালবাসেন। নেতাজিকে অপমান করা হচ্ছে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন নেতাজি ৷ তাদেরকেও অপমান করা হল। নেতাজিকে অপমান করার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন ওনারা ৷ ’’