নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের টাকা পাওয়া সত্ত্বেও প্রায় তিন লক্ষ সত্তর হাজার বাড়ির কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনায় সাতচল্লিশ হাজার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ছেচল্লিশ হাজার, মুর্শিদাবাদে উনচল্লিশ হাজার এবং কোচবিহারে উনত্রিশ হাজার বাড়ির কাজ এখনো শেষ হয়নি।
advertisement
শীত এলেই সাপেরা কোথায় ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায় জানেন? ঘুম নাকি জীবনই শেষ? বিজ্ঞানীরা যা বলছেন
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ের এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা পাওয়ার পরও রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই করেননি। এর মধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপভোক্তা রয়েছেন যারা টাকা পেলেও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি।
এই গাফিলতি নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব নিজে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যারা টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে কারণ জানতে হবে। একইসঙ্গে, প্রত্যেক সপ্তাহে সেই কাজের অগ্রগতির বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে।
চারটি জেলার পারফরম্যান্সে বিশেষভাবে অসন্তুষ্ট প্রশাসন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই জেলাগুলির অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি শেষ করতে হবে।
রাজ্য সরকার ডিসেম্বর মাস থেকেই বাংলার বাড়ির দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। তবে তার আগে প্রথম পর্যায়ে অসমাপ্ত প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করা এখন প্রশাসনের প্রধান অগ্রাধিকার।
বর্তমানে রাজ্যের প্রায় উনসত্তর শতাংশ উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেছেন। বাকিদের ক্ষেত্রেই এখন কঠোর তদারকি ও জবাবদিহির মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চাইছে নবান্ন।
