গত বছর NCRB-র রিপোর্টে এই রাজ্যের তথ্য প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এ বছর প্রকাশ হতেই তা রীতিমতো স্বস্তি দিল রাজ্য সরকারকেও। এনসিআরবি গত এক বছরের অপরাধের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া-২০২০’ শীর্ষক সেই রিপোর্টে অনুযায়ী, মোট অপরাধের সংখ্যার হার ভারতের অন্যান্য মেট্রো শহরগুলিতে যেখানে অনেকটাই বেশি, সেখানে কলকাতা সেই তুলনায় অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে কলকাতায় মোট অপরাধের হার ছিল ১২৯.৫। অথচ চেন্নাইয়ে অপরাধের হার ১৯৩৭.১, দেশের রাজধানী দিল্লিতে ১৬০৮.৬, বিজেপি শাসিত গুজরাতের আমদাবাদে ১৩০০, বেঙ্গালুরুতে ৪০১.৯ এবং মুম্বইয়ে ৩১৮.৬।
advertisement
আরও পড়ুন: ৮ লাখি গাড়ি, আর বাড়ি? ভবানীপুরের CPIM প্রার্থীর সম্পত্তি কত জানেন?
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি, গত দু’বছরের তুলনাতেও সামগ্রিক ভাবে কলকাতায় নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০১৮ সালে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা যেখানে ছিল ১৯,৬৮২। ২০১৯-এ সেই সংখ্যা কমে হয়েছিল এসেছিল ১৭,৩২৪টিতে। আর ২০২০ সালে বাংলার রাজধানীতে মোট অপরাধের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫,৫১৭ টিতে। পাশাপাশি তুলনা করলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে গত এক বছরে অপরাধ নথিভূক্ত সংখ্যা ছিল ৫০,১৫৮, দেশের রাজধানী দিল্লিতে সেই সংখ্যাটা রীতিমতো চমকে ওঠার মতো। দিল্লিতে গত এক বছরে নথিভূক্ত অপরাধ ২,৪৫,৮৪৪টি। পিছিয়ে নেই চেন্নাইও। সেখানে গত এক বছরে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৮৮,৩৮৮। নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতের রাজধানী আমদাবাদে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যাও নেহাত কম নয়-৬১,৩৯৫চি।
তথ্য এবং পরিসংখ্যান আরও এক চমকপ্রদ তথ্য বলছে। মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যার নিরিখেও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর থেকে অনেক নিরাপদ শহর হিসেবে রয়েছে কলকাতার নাম। গত এক বছরে কলকাতায় যেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের সংখ্যা ২,০০১, সেখানে বেঙ্গালুরুতে ২,৭৩০, দেশের রাজধানী দিল্লিতে ৯,৭৮২।