আজ এবং আগামীকাল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটসের এক প্রতিনিধি দল সরেজমিনে ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সফরে। ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ ওমেন এন্ড চাইল্ড ডেভলপমেন্টের অধীনস্ত এই কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি মৃত নাবালিকার বাড়িও যাবেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে থানাতে দেখাও করবেন তারা বলে জানা গেছে। এই মর্মে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে বিস্তারিত সফরসূচি জানানো হয়েছে। ধর্ষণ করে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ সামনে আসে। যদিও ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমানদ্বীপ।
advertisement
আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে রাতের ঘুম উড়ে গেল অনুব্রতর, এক পদক্ষেপেই ফের বাজিমাত CBI-এর!
নাবালিকা খুনের দায়ে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চার জনের মধ্যে তিনজন নাবালক এক জন প্রাপ্তবয়স্ক। দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্টো এলাকার বছর বারোর এক নাবালিকা। ৭ তারিখ জাঙ্গিপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঝিলের মধ্যে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পাশেই পুরুষের একজোড়া জুতো পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। নাবালিকার পরিবার অভিযোগ করে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'দলে চাকর আর বাবু বিভাজন, আমি চাকরের দলে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস! নিশানায় কে?
ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। দশমীর রাতে বাঁশ বাগানের মধ্যে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে মেয়েটি বাধা দেয়। সেই সময়ই নাবালকের তিন বন্ধু বাঁশ বাগানের মধ্যে আসে। ধর্ষণে বাধা দিলেই তখনই তাকে জোর করে ঝিলের জলে ফেলে দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। গোপনাঙ্গেও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। শরীরে অন্য কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা শুধুমাত্র পায়ে একটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। জাঙ্গিপাড়ার পাশাপাশি শেওড়াফুলিতেও পৃথক একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় থানাতেও যাওয়ার কথা রয়েছে কমিশনের প্রতিনিধি দলের বলে জানা গেছে।