১৬ জুন কাশীপুর থানার একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়। তাতেই তলব করা হয় নওশাদ সিদ্দিকীকে। পঞ্চায়েত ভোটে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চলেছে ভাঙড়ে। গুলি বোমা পড়েছে মুড়ি মুড়কির মতো। শুধু তাই নয়, ঝরেছে প্রাণও। ভোট হিংসায় হানাহানির ঘটনায় তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপরই ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে তলব করা হয় ভবানী ভবনে। সেই তলবে সাড়া দিয়ে সোমবার সিআইডির অফিসে যান নওশাদ। এদিন ফের তাঁকে তলব করা হল।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘লিপস এন্ড বাউন্ডসে তল্লাশির সব তথ্য সামনে আনা হোক!’ তোলপাড় ফেলে দিলেন খোদ অভিষেক
কাশীপুর থানায় নওশাদ সহ ৬৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার সিআইডি তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে নওশাদ ও তাঁর দলের ভূমিকা কী ছিল। পাশাপাশি আইএসএফ-এর যে সমস্ত কর্মীরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ কেমন তাও জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন: দিঘার হোটেলে ছোট-ছোট ছেলেদের সঙ্গে…ক্যারাটে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! তোলপাড়
উল্লেখ্য, রাজু নস্কর খুনের মামলায় গত ১৬ জুন কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছিল কাশীপুর থানার পুলিশ। ভাঙড় ২ ব্লকের হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঋত্বিক নস্কর অভিযোগ করেছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিতে হাটগাছার কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর রাজু নস্কর ভাঙড় ২ ব্লকের দিকে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে তাঁর শ্বশুর রাজু নস্করকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ আনেন তিনি। কোনওরকমে পালিয়ে বেঁচেছিলেন ঋত্বিক।
তাঁর দাবি, এর নেপথ্যে ছিল আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর আরও দাবি, নওশাদের চক্রান্ত এবং প্ররোচনায় এই হামলা চালানো হয়েছিল। গত ১৬ জুন নওশাদ সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ঋত্বিক। সেই খুনের মামলাতেই সিআইডি নওশাদকে তলব করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।