প্রসঙ্গত রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় ৬৪ টি শিল্প তালুক রয়েছে। অনেকগুলি শিল্প তালুকে অনেকটাই জমি পড়ে রয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার শিল্প তালুক গড়তে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে নূন্যতম জমির পরিমান দশ একরের বদলে পাঁচ একর করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ছাড়ের কথাও ঘোষনা করেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এখনও বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি।
advertisement
অর্থমন্ত্রী জানান, ১৮ টি সংস্থার মধ্যে চারটিকে খড়গপুর বিদ্যাসাগর শিল্প তালুক,পানাগড় শিল্প তালুক ও নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম শিল্প তালুকে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাগুলি হল,সি জি ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড,বার্জার পেন্টস,এস এস গ্লোবাস স্পিরিট ও জুভিলেন ফুড ওয়র্কাস। সরাসরি এই সংস্থাগুলিতে চার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হল! মাটিতে দেহ পুঁতে দিল প্রেমিক!
প্রসঙ্গত একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে জানিয়েছেন এবার তার লক্ষ্য শিল্পে বিনিয়োগ আনা। বিনিয়োগ আনলেই যে কর্মসংস্থান আরো বেশি তৈরি হবে সে বিষয়ে বারবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে নিজের মত প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।শিল্পে বিনিয়োগ আনার জন্য একাধিক নীতি সরলীকরণ করেছে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিল্প তালুক গুলিতে সাইকেল হাব তৈরি পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসছে। বিনিয়োগ আসছে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ও। ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র- মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর এক জানালা নীতি গ্রহণ করেছে। সে ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তরের অধীনে বিনিয়োগের গতি আরো বাড়ানো যাবে বলে মনে করছে নবান্নের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। সে দিক থেকে দেখতে গেলে রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ বজায় রাখতে এদিনের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়