এর আগেও একই রকম ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছেন তিনি। কিন্তু মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ভাঙড় যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তারপরই নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন নওশাদ। নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে আবেদন জানালেও কোনও পক্ষের কাছ থেকেই তিনি সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
এরপর আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবার সিআইএফের সাতজনের একটি দল ফুরফুরা শরিফে তার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন হন। সোমবার থেকে ফের নতুন উদ্যমে প্রচার শুরু করে দেন আইএসএফ চেয়ারম্যান। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা। মঙ্গলবার নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগণায় প্রচার কর্মসূচি করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: সিপিআইএমের বড় চাল! হাওড়ায় প্রার্থী দীপিকা ধর, পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন
নওশাদ বলেন, “আমার উপর শাসকের রক্তচক্ষু আছে। যে কোনও সময় আমার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে। আমি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছিলাম। তারা নিরাপত্তা দেয়নি। তারপরে নির্বাচনকালে মনোনয়ন পর্বে আমার দলের কর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমার উপরে আক্রমণ করা হচ্ছিল। আমি কর্মীদেরকে নিয়ে নমিনেশন দিতে যাচ্ছিলাম। আমার আশেপাশে যেভাবে বোমা ছোড়া হয়েছে আতঙ্কে ছিলাম। এতটা হিংস্র হয়ে উঠেছে। এরপর কোর্টের দ্বারস্থ হই নিরাপত্তার জন্য। নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে। সারাদিন দু’জন করে থাকে আমার সঙ্গে। নিরাপত্তারক্ষী পাওয়ার পরে কিছুটা হলেও এখন আমি স্বস্তিতে আছি। সরাসরি কেউ আক্রমণ করতে আসলে কিছুটা হলেও এরা প্রতিহত করতে পারবে। তবে আমার ওপর যে ধরনের হুমকি আছে এই নিরাপত্তা আমার জন্য যথেষ্ট নয়। এটা আমি আদালতে জানিয়েছি। আমার নিরাপত্তা রক্ষী আরও বাড়ানো হোক। তবে এই নিরাপত্তা রক্ষী পাওয়ার পরেও আমার চলাফেরা অনেকটা সহজ হয়েছে। আরও বেশি পেলে আরও সুবিধা হবে।”
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও বেশ কিছু জায়গায় তিনি টানা প্রচার করবেন বলে আইএসএফ সূত্রে খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও আইএসএফ জোট মিলে তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস একটিও আসনে জিততে না পারলেও সংযুক্ত মোর্চার তরফে ভাঙড় থেকে জয়লাভ করেন চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেই হিসেবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন আইএসএফের কাছে দ্বিতীয় বড় রাজনৈতিক পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ।