অভিযুক্তের আইনজীবীর বক্তব্য, 'তদন্ত শেষ। ফলে চার্জশিট জমা করেছে পুলিশ। চার্জশিটে ৩০৭ ধারার উল্লেখ আছে, যা ঘটনাস্থলে ঘটেনি। এই মামলায় কাউকে আটকে রাখার মানে নেই, যদি না রাজনৈতিক কারণ থাকে।' নওশাদের অপর এক আইনজীবী বলেন, 'নওশাদের বিরুদ্ধে আগে কোনও কেস নেই। অকারণে জেলে থাকতে হচ্ছে।' পাল্টা সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'চার্জশিট জমা পড়েছে। আঘাত না থাকলেও ৩০৭ দেওয়া যায়।' ফের অভিযুক্তের আইনজীবীর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচাৰ্য বলেন, 'একই দিনে একই ঘটনা তাও এতদিন পর মনে হল, পুলিশ কী ঘাস কাটছিল?' সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় পাল্টা বলেন , 'অন্যান্য মামলায় পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তাই নিতে পারিনি। ঘাস তো মাঠে বাড়েনি। ফলে কী করে ঘাস কাটবে? ফলে তদন্ত করেছে পুলিশ। মামলার ডেভেলপমেন্টের জন্য নিউ মার্কেটে নেওয়া প্রয়োজন।'
advertisement
আরও পড়ুন: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি
দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক সৌনক মুখোপাধ্যায় নিউ মার্কেট মামলায় নাওসাদ সিদ্দিকীর ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি ৫ জনের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসমা খাতুন ৫০০০ টাকা বন্ডে জামিন পান৷
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ায় ভাঙড়ে। তার উত্তাপ এসে পড়ে রাজ্যের রাজধানী কলকাতার ধর্মতলাতেও। আইএসএফ সমর্থকদের নিয়ে এসপ্লানেড চত্বরে জড়ো হন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশ বাধা দিতে গেলে বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। ঘায়েল হন একাধিক পুলিশকর্মী। ঘটনায় নওশাদ সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।