সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের খুব ভাল ফল হয়েছে। ২০২১ সালে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা অসাধারণ ফল করেছি। সেই কারণে আগামী ১৩ তারিখ ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে বিজয় উৎসব করা হবে। আমি চাই নওশাদ সিদ্দিকি সেখানে আসুন। নওশাদ সিদ্দিকি আমার ছোট ভাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে নওশাদকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। প্রয়োজনে আমি তাঁর বাড়িতে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসব। দরকার হলে আমি নিজে গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসব। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। নওশাদ সব সময় শান্তির কথা বলেন। আমি বলছি ভাঙড়ের শান্তির জন্যই তিনি আসুন। আমাদের নেত্রী শিখিয়েছেন রাগ, ক্ষোভ যাই থাকুক না কেন তা হজম করে নিতে হয়। আমরা চাই ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। তাই ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে আমার ছোট ভাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”
advertisement
পালটা নওশাদ বলেন, “ভাল লাগছে যে আমার বড় ভাই শওকত মোল্লা দেরিতে হলেও সৌজন্যের রাজনীতি শিখেছেন। তবে একটা বিষয় এখানে বলতেই হচ্ছে যে তাঁরা কি মানুষের রায়ে জিতেছেন? না, সন্ত্রাসের মাধ্যমে পঞ্চায়েত দখল করেছেন শওকত বাবুরা। তাই সেই বিজয় উৎসবে আমি যেতে পারব না।”
পঞ্চায়েত নির্বাচন কালে তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। রাজনৈতিক সংঘর্ষে হতাহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। সেই উত্তাপ কমাতে ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ভোট মিটে গেলেও বোমা উদ্ধার সহ বিক্ষিপ্ত হিংসা জারি থাকে ভাঙড়ে। তারই জেরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় সেখানে। এই অশান্তির দায় নিয়েও শাসক বিরোধীদের মধ্যে তরজা লেগে রয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল আইএসএফের মতো যুযুধান দু’পক্ষের মধ্যে কৌশলী রাজনীতিতে ভাঙড়ে এক নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা