শাসক দল তৃণমূলকে নিশানা করে ভাঙ্গড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হুশিয়ারি, ‘‘দেখব কত তোমার বোম, গুলি আছে। তুমি নমিনেশন আটকাতে পারো না। নমিনেশন করতে যাবে হাজার হাজার মানুষ। মস্তানকে কী করে জব্দ করতে হয় দেখাব। ভোট গণনার কেন্দ্রের ১০০ মিটারের বাইরে তাবু খাটিয়ে রাত পাহারা দেবো।’’
আইএসএফ নেতার এই বক্তব্যে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের তরফে কটক্ষ করে শান্তনু সেন খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘ওরা যে বলছে হাজার হাজার লোক নমিনেশনে যাবে, ওদের এক হাজার সদস্যের নাম বলতে পারবে? তৃণমূল নয়, বোম-গুলি আমদানি করে বিরোধীরাই।’’
advertisement
আরও পড়ুন : ২০ দিন বয়সি অসুস্থ কন্যাসন্তানকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার তরুণী মা
আরও পড়ুন : গুন্ডা, মাফিয়া, তোলাবাজি, দুর্নীতি তো রয়েইছে, এবার ডেঙ্গির সাথেও'? প্রশ্ন দিলীপের
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এখনও থেকেই ফুটছে রাজ্য রাজনীতি। প্রতিদিনই কোনও না কোনও নেতা সুর চড়াচ্ছেন। কয়েকদিন আগেই নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘প্রয়োজনে ‘সন্ত্রাস' মোকাবিলায় 'সন্ত্রাস’- এর পথ বেছে নেওয়া হবে। সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে। সন্ত্রাসকে বন্ধ করতে গেলে, সন্ত্রাসের মাধ্যমেই সেটা বন্ধ হয়। কেউ যদি প্রশ্ন করে ইট দিয়ে। তাকে তো পাটকেল খেতেই হবে। তাকে তো আর বরণ করতে পারব না। সন্ত্রাসের মোকাবিলা সন্ত্রাসের মতো করেই হবে।’’
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কোনও সন্ত্রাস বাংলায় হবে না। যদি না সন্ত্রাস ওরা করে। বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। শান্তির বদলে শান্তি। তুমি কেঁচোর মতো লাফালেও আমি সাপ হয়ে ফণা তুলবো না। এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য বন্ধ করুন'। তেইশে গ্রামে গ্রামে ভোটের যুদ্ধ। বাইশেই নেতারা কথার যুদ্ধে শামিল।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী