সোমবার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা জানিয়েছিলেন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য সেখানকার মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ওই এলাকার একটা বড় অংশের মানুষের। যারা সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। এবং একই সঙ্গে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন শওকত মোল্লা।
আরও পড়ুন: ডোবা, ঝোঁপে কাকে খুঁজছে পুলিশ? কান্দি শহর জুড়ে হইচই
advertisement
বুধবার একই দাবি করেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকি। যদিও দুজনেই ভাঙড়ে অশান্তির জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জারি রেখেছেন। বুধবার বিধানসভায় নওশাদ বলেন, “ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেখানকার মানুষকে। বিশেষ করে যারা সবজি চাষের সাথে যুক্ত তাঁদের অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।” আগের দিন শওকত মোল্লার একই দাবি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আগেও বলেছি শওকত মোল্লা সাপ হয়ে কামড়াচ্ছে আর ওঝা হয়ে ঝাড়ছে। ভাঙড়ে যত সমস্যার মূলে তো তাঁরাই। এবার এসেছে মলম দিতে। ওদের এসব কথা ভাঙড়বাসী বুঝতে পেরে গিয়েছেন।”
সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের শওকত মোল্লা জানান, “ভাঙড়ে প্রচুর মানুষ ১৪৪ ধারার জন্য সমস্যায় রয়েছেন। ভাঙড়ের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এই এলাকায় মূলত সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে বহু মানুষ। যে সবজি শুধুমাত্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও রফতানি হয়। সেই কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে। এলাকার বহু দরিদ্র মানুষ এই সবজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও সেখান থেকে প্রচুর মানুষকে বাইরে যাতায়াত করতে হয় রুটিরুজির জন্য সেগুলিও সম্ভব হচ্ছে না ১৪৪ ধারা জারি থাকার জন্য। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাতে চাই যে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হোক। যাতে এইসব মানুষ স্বাভাবিকভাবে নিজেদের জীবন জীবিকা পালন করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও যথেষ্ট মানবিক। তাঁর নজরেও এই বিষয়টা রয়েছে। আশা করি তিনি এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করবেন।”
একই সঙ্গে ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকীকেই দায়ী করেন শওকত। তিনি বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকিকেকে ওই এলাকার মানুষ চিনে ফেলেছেন। তাই সেখানে তিনি একবার কেন বারবার যেতেই পারেন কিন্তু মানুষ তার কথায় আর গলবে না সেটা বোঝা যাচ্ছে।”