সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের শেষ দিকেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছিল৷ বিশেষ কারণ বশত প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের শিল্প সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে সেই বার্তায় জানানো হয়েছিল৷ বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আমন্ত্রণ পত্রে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ে উপদেষ্টা অমিত মিত্রের নামও রয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: সেই সিঙ্গুরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সমবায় সমিতি দখলে রেখে দিল বামেরা
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নিউ টাউনে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা৷ অনেকদিন আগে থেকেই এই সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাজ্য সরকার৷ সেই মতো কয়েকমাস আগেই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মেলনে হাজির থাকার জন্য অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন৷ শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ রক্ষা করছেন না৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন, লড়বে তৃণমূল? ইঙ্গিত দিলেন সুস্মিতা দেব
প্রধানমন্ত্রী এলে যে এই বাণিজ্য সম্মেলনের জৌলুস অনেকটাই বাড়ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের আয়োজিত শিল্প সম্মেলনে এলে তা বঙ্গ বিজেপি-র কাছেই বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতো৷ কারণ এই শিল্প সম্মেলেনর প্রকৃত সাফল্য নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য বিজেপি৷ এবারেও বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হওয়ার দিনই বীরভূমের দেউচা পাচামিতে গিয়ে কয়লা উত্তোলন প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
কয়েক দিন আগেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার সহ বাংলার বিজেপি সাংসদরা৷ সূত্রের খবর, তখনই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে না আসার জন্য বঙ্গ বিজেপি-র তরফে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধও করা হয়৷ ফলে, দলীয় চাপের কারণেই শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷