বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে প্রধানমন্ত্রী মোদির দু’দিনের ৫ রাজ্য সফর৷ সফর চলাকালীন একাধিক রোড শো থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনসভা করার কথা তাঁর৷ এই জনসভাগুলি থেকে আবারও তিনি পাকিস্তানকে জোরাল বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷
প্রধানমন্ত্রী মোদি ২৯ মে সকাল ১০:৪৫ মিনিটে প্রথমে সিকিমে অবতরণ করবেন এবং সিকিম রাজ্য প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পালজোর স্টেডিয়ামে একটি জনসভা করবেন। তারপর ২৯ মে বিকেলে, তিনি আসবেন পশ্চিমবঙ্গে৷ সেখানে আলিপুরদুয়ারে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর।
advertisement
এদিন মোদি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘আগামিকাল দুপুরে আমি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি জনসভায় উপস্থিত থাকব৷ গত এক দশক ধরে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের নানা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ভাল লেগেছে৷ একইসঙ্গে, তাঁরা তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অক্ষম প্রশাসন নিয়েও বিরক্ত এবং ক্লান্ত৷’ আসার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করলেন মোদি, মঞ্চ থেকে তিনি কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, তা অবশ্য আগামিকালই বোঝা যাবে৷
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের জনসভার পরে সন্ধ্যায় পটনার বিমানবন্দর থেকে বিহার বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত একটা বিশাল রোড শো করবেন মোদি। বিকেল ৫টার দিকে পটনায় অবতরণ করবেন, নতুন বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন, জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন এবং তারপর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলবে এই রোড শো।
আরও পড়ুন: আসছেন মোদি! কী কী উন্নয়ন হয়েছে আলিপুরদুয়ারে…তার তালিকা তৈরি করে প্রচার তৃণমূলের
বৃহস্পতিবার রাতে পটনাতেই থাকার কথা তাঁর৷ তারপর ৩০ মে সকালে প্রধানমন্ত্রী বিহারের ভক্তিয়ারপুরে একটি বিশাল সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রসঙ্গত, এই বছরের শেষের দিকে বিহারে নির্বাচন।
এরপর, প্রধানমন্ত্রী মোদি ৩০ মে বিকেলে কানপুর যাবেন এবং পহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভম দ্বিবেদির পরিবারের সাথে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি কানপুরের সিএসএ গ্রাউন্ডে একটি জনসভাও করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ৩১ মে-ও ভোপালে একটি জনসভায় যোগ দেবেন তিনি৷ এটি সম্পূর্ণ মহিলাদের সমাবেশ হবে৷ অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে তাই এই সমাবেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।