বৈঠক শেষে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এটা সাধু সন্ত সমাজের অনুষ্ঠান। আমরা যেহেতু রাষ্ট্রবাদী ও সনাতনী সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি তাই আমরা পরিবারের সদস্য হিসেবে অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করব। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। কিন্তু আপনারা কেউ আমাদের মূল মঞ্চে দেখতে পাবেন না।’’
আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! হঠাৎই বদলে গেল গতিপথ…বড়দিনে বড়সড় ভোলবদলের আশঙ্কা আবহাওয়ার
advertisement
শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘আমরা সেই অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করব এবং মঞ্চে নয়, মঞ্চের নীচে বসে গীতা পাঠে অংশ নেব।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আদি গুরু শঙ্করাচার্য থেকে বিভিন্ন মঠ মিশন ও বিভিন্ন প্রান্তের প্রথম সারির আশ্রম থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার সন্ন্যাসী গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।’’
প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সহ অনেককেই আয়োজকেরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানে আসার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আসার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছিলেন। তবে তিনি আসছেনই এমন চূড়ান্ত সূচি ছিল না। অন্তত এখন তেমনটাই জানাচ্ছেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা৷ প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকার জন্য তিনি আসছেন না বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সাধু সমাজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। তবুও আমরা সাধু সমাজ যারা লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করছেন তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে ’’, মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে হিন্দুদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। অনুষ্ঠান সফল হবেই।’’