সভা করবেন আরামবাগে। আগামিকাল, শনিবার ২ মার্চও সভা করবেন তিনি। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সেই সভা করবেন তিনি। এরপর ৮ মার্চ সন্দেশখালির কাছাকাছি বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মোদি, এমনও গুঞ্জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩০ ফেব্রুয়ারি! হ্যাঁ, এই দিনটিও এসেছে পৃথিবীতে! কবে জানেন তো? শুনলে যেন আকাশ থেকে পড়বেন
advertisement
কিন্তু লোকসভা ভোটের প্রচারে শুরুতেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগরকে বেছে নিলেন কেন প্রধানমন্ত্রী? রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, গত লোকসভা ভোটে আরামবাগ থেকে সামান্য ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল। তৃণমূল ভোট পেয়েছিল ৪৪.১৯%, আর বিজেপি পেয়েছিল ৪৪.০৩%। অর্থাৎ ব্যবধান খুব সামান্যই। আর এই আরামবাগের জেলা হুগলিতেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতা। একইসঙ্গে হুগলিতে কৃষকদের সংখ্যাও রয়েছে প্রচুর। ফলে আরামবাগ সহ হুগলি জেলায় আলাদা নজর রয়েছে বিজেপির।
আরও পড়ুন: আজ আরামবাগে প্রধানমন্ত্রী, ভোটের আগে বঙ্গে প্রথম জোড়া কর্মসূচি মোদির
অপরদিকে, ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ক্যাশ ফর কোয়ারি কাণ্ডে সাসপেন্ড হয়েছেন সংসদ থেকে। একইসঙ্গে, কৃষ্ণনগর সহ নদিয়ার বিপুল অংশে প্রভাব রয়েছে মতুয়াদের। ফলে মতুয়া ভোট টানতে কৃষ্ণনগরে মোদির সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ লাগু হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদি কি এ নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন? এখনও পর্যন্ত সিএএ কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। সেই ক্ষোভ প্রশমনেই বিজেপির বাজি সেই মোদিই।
এদিকে, সন্দেশখালি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ইস্যু করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রেই ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সন্দেশখালিতে সভা করবেন মোদি। সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলতে পারেন মোদি। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে মহিলাদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে মহিলাদের মন পেতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বারাসতে সভা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।