মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ''প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর জন্যে বলি, আমরা এই হাসপাতালের উদ্বোধন আগেই করে দিয়েছি। COVID-কালে এখানে চিকিৎসা হয়েছে। রাজ্য ২৫ % অর্থ দিয়েছে। জমি দিয়েছে। মুম্বই টাটা ক্যান্সারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ হচ্ছে। সাব ডিভিশন হাসপাতালে এইচডিইউ করা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য সাথী স্কিম আছে। ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন আছে। ৫ লাখ টাকা আছে স্বাস্থ্য সাথী স্কিমে।''
advertisement
এরপরই অনুযোগের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''মেডিক্যাল সিট বাড়ানো উচিত। কিন্তু কোন কাজ করতে গেলেই রাজ্যপাল নাক গলান, জানেন না প্রধানমন্ত্রীর কাজই হচ্ছে।'' রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ''এবার COVID ছড়াচ্ছে বেশি। এখন বলা হচ্ছে ৪-৫ দিনে ঠিক হয়ে যায়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় ডোজ হলে বুস্টার ডোজ দিতে হবে। ভ্যাকসিনে বাংলা এগিয়ে।''
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই পুরভোট নাকি পিছোচ্ছে? সব নজর মঙ্গলবারের দিকে...
নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রীও পাল্টা কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। বাংলায় কত ভ্যাকসিন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দেওয়া হয়েছে, তুলে ধরেন সেই তথ্যও। গোটা দেশে ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন নরেন্দ্র মোদি। মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ১.৫ কোটি শিশুদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এই সাফল্য গোটা দেশের নাগরিকদের, প্রতিটি রাজ্য সরকারেরও।
আরও পড়ুন: ফের আসরে SFI, রেড ভলান্টিয়ার্সের পর এবার শুরু নতুন জনমুখী পরিষেবা! জানুন...
তাঁর কথায়, ''দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্যে আজকে আমরা আরও এক পা এগোলাম। ক্যান্সারে আক্রান্ত গরীব এবং মধ্যবিত্তদের সাহায্য হবে। বছরের শুরুতে ১৫-১৮ বছরের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল। আজ ১৫০ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। COVID এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধের জন্যে ভ্যাকসিন যেমন দরকার, সেরকমই চরিত্র বদল করা করোনা আছে। বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ। ১১ কোটি ভ্যাকসিন পশ্চিমবঙ্গকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন প্ল্যান্ট দেওয়া হয়েছে যা COVID থেকে লড়াই করার জন্যে প্রয়োজনীয়।''
----ওঙ্কার সরকার