তুষার মেহেতা-অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা বিচারপতিদের সামনে যেভাবে সওয়াল জবাব চালালেন -
মেহেতা- আমি মহামান্য় আদালতকে অনুরোধ করব তারা যেন গ্রেফতারির বিষয়টিকে এ মুহূর্তে ভুলে যান। আমার প্রশ্ন যেভাবে জামিন দেয়া হয়েছিল তা ঠিক কিনা। ধরে নিচ্ছি অ্যারেস্ট করা অনৈতিক ছিল। প্রশ্ন হল যে ভাবে বিচার ব্য়বস্থায় নাক গলানো হল তা কি বিচার ব্যবস্থ্যা সম্পর্কে জনতার বিশ্বাসের স্খলন ঘটাবে না। আর যে পাঁচ বিচারক এখানে রয়েছেন, তারা শুধু জামিন হবে কি হবে না তা স্থির করতেই বসেননি। আমরা চাইছি আলোচনা হোক আলোচনা হোক আরও বৃহত্তর প্রেক্ষিতে। আমার মতকে রাজনৈতিক ভাববেন না। এটা এখানে আটকাতে না পারলে বহু রাজ্য়েই ঘটবে।
advertisement
বিচারক মুখোপাধ্যায়- দেশে এর আগেও জনরোষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আপনি যদি দেখাতে না পারেন যে সংশ্লিষ্ট বিচারক এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, ততক্ষণ এই নিয়ে বাদানুবাদ গঠনমূলক নয়।
বিচারক হরিশ ট্যান্ডন- সাধারণ মানুষ আবেগের বশবর্তী হয়ে এ ধরনের কাজে করে। তবে আবেগ যেমনই হোক, আইন তা কখনই অনুমোদন করে না। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ বিচারকে প্রভাবিত করে এমনটা মনে করার কারণ এই।
বিচারক অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-চারটি আবেদন জমা পডে়ছে অভিযুক্তদের জামিন চেয়ে। আপনার আবেদনটি স্থানান্তকরণের। আমার ধারণা, জামিন দেওয়া হবে না হবে না সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণই ন্যায়সঙ্গত।
মেহেতা- তার মানে এই ধরনের উন্মত্ততা পবিত্র। আমি তো ন্যায়ালয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি!
বিচারক মুখোপাধ্যায়- আপনি সওয়াল করতেই পারেন তবে ভুলে যাবেন না বিচারের ভার পাঁচ বিচারপতির উপর ন্যাস্ত।
মেহেতা-আমাক ভুল বুঝবেন না। এমন একটা বিষয়ে নিয়ে আলোচনা যে খানে সাংবিধানিক প্রধানরা সিবিআই অফিসে গিয়েছে অভিযুক্তের পক্ষে তাই আমি বলছি এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
মেহেতা- গণতন্ত্রে এটা হয় না। এটা 'মবতন্ত্র' । অ্যারেস্ট বেআইনি হলে কোর্টে যাওয়া যেত।
কল্যাণের বাক্যবাণ-
আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়- সলিসিটার জেনারেল ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা চালিয়ে যাবেন আমাদের কথা শোনা হবে না এমনটা হতে পারে না। এটা ন্যায়কাঠামোকে লঙ্ঘন করা চলছে।পাঁচদিন ধরে কথাবার্তা চলবে আর অভিযুক্তরা হেফাজতে থাকবেন এটা তো চলতে পারে না। এটা স্বাধীনতার প্রশ্ন। আমাদের আবেদন এক কোণায় পড়ে থাকতে পারে না।সাইক্লোন হয়ে গেল কাজ করতে পারলেন না ফিরহাদ হাকিম, ভুগছে সাধারণ মানুষ।
বিচারক বিন্দল-আমরা সবাইই কিন্তু লকডাউনে গৃহবন্দি (মজার ছলে)।
কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়-এখানে যা চলছে তাতে আমি ব্যথিত। এটা ক্লাসরুম নয়। চল্লিশ বছরে এমন দেখিনি।
ব্যাটন হাতে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি-
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি- কল্যাণ যা বলছেন আমি তার পক্ষেই কথা বলতে চাই। আর হ্যাঁ জনরোষ জামিন বাতিলের কারণ হতে পারে না। তুষার মেহেতা যেসব সুস্বাদু প্রশ্ন তুলছেন তা পরেও আলোচনা হতে পারে।
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি-মেহেতা জামিন ছাড়া অন্য সব বিষয়ে কথা বলছেন। অর্থাৎ জামিনের দরজাটা তিনি বন্ধই রাখতে চাইছেন। মৌখিক কথাবার্তায় আপনারা জামিন স্থগিত করেছিলেন যে আদালতে, দুদিন পরে সেই আদালত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন!
বিচারক মুখ্যপাধ্য়য়-না বিষয়টি শুধুই জামিন কি জামিন নয় তাতে আটকে নেই। জামিন হলে গোটা বিষয়টিই খারিজ হয়ে যায়।
মেহেতা -মামলা অন্যত্র গেলে সব অভিযুক্তই পক্ষ।
কল্যাণ- শুভেন্দু-মুকুল রায় কেন নন? বিজেপিতে যোগ দিলেন বলেন?