ওই নার্সিংহোমে ডাক্তাররা জানায় আন্নার দুটি কিডনিই বিকল। ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন রয়েছে।স্বামী বিশ্বজিৎ হালদার কৃষি মজুর।সর্বসাকুল্যে মাসে ৭ হাজার টাকা রোজগার। দুটি বিকল কিডনির চিকিৎসা ভার বেসরকারি জায়গায় রেখে তাঁর দ্বারা করা সম্ভব নয়। তাই কল্যাণী থেকে কলকাতা সরকারি হাসপাতালে উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা দেয়। সকাল এগারোটায় আরজিকর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে আন্নাকে নিয়ে আসে।সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা রোগী ফেলে রাখে ডাক্তাররা।বেলা তিনটে নাগাদ ওই হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করে।সেখান থেকে নিয়ে যায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।সেখানেও শয্যা নেই বলে ফিরিয়ে দেয়।
advertisement
তারপর বেলা পাঁচটা নাগাদ পৌঁছায় নীলরতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নীলরতন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন ভাবে ট্রলি দিতে চায়নি ট্রলিম্যানরা। কারণ দুশো টাকা না দিলে ট্রলি তাঁরা দেয় না। ডাক্তার ট্রলির জন্য লিখে দিলেও তারা বলে দেয় ট্রলি নেই। এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি রয়েছে এনআরএস এর ইমারজেন্সি বিভাগে। সামান্য চিকিৎসা শুরু হলেও যথেষ্ট আশঙ্কায় এবং ভয়ে রয়েছেন আন্নার স্বামী বিশ্বজিৎ ও পরিবারের লোকেরা।তার ওপর সকাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে থাকার জন্য ,ভাড়া মোটামুটি পাঁচ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজিতের বক্তব্য, সারাদিন অনেক খরচ হল, এখনও রোগীর চিকিৎসা শুরু হল না। কলকাতায় থেকে এখন চিকিৎসা করানো করাতে পারবে কিনা?সেটা নিয়ে সংশয়।এখনো হাসপাতালে শয্যা পায়নি।আগের হাসপাতালের মত কয়েক ঘণ্টা রেখে ফেরত দিলে,তখন কোথায় নিয়ে যাবে!