TRENDING:

Nabanna: নবান্নের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, একটি বিশেষ কর্মসূচিতে একইসঙ্গে কাজ করবে স্বাস্থ্য দফতর ও নারী-শিশু কল্যাণ দফতর

Last Updated:

পুষ্ট ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণ ও তথ্য ভান্ডারে সঠিক তথ্য সংরক্ষণে এবার থেকে আর আলাদাভাবে নয়, স্বাস্থ্য ও নারী-শিশু কল্যান দফতর এক সঙ্গে কাজ করবে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: পুষ্ট ও গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণ ও তথ্য ভান্ডারে সঠিক তথ্য সংরক্ষণে এবার থেকে আর আলাদাভাবে নয়, স্বাস্থ্য ও নারী-শিশু কল্যান দফতর এক সঙ্গে কাজ করবে। এতদিন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আর্থিক সাহায্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং নারী ও শিশু কল্যান দফতর আলাদাভাবে এই কর্মসূচি রপায়ণ করত। এই দুই দফতর আলাদাভাবে কর্মসূচি রূপায়ণ করতে গিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বহু সময় দেখা গিয়েছে একই জায়গায় দফতর কাজ করলেও যেখানে প্রয়োজন রয়েছে সেখানে সরকারি কর্মসূচি পৌঁছচ্ছে না। এই বিষয় দুই সরকারি দফতরের তথ্য ভিন্ন কথা বলার নজিরও রয়েছে। এই বিভ্রান্ত দূর করতেই এই যৌথ কর্মসূচি। তেমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকাও জারি করেছেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
advertisement

প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে আট থেকে দশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে যুক্ত করে একটি হাব করা হবে। যেখান থেকে এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে। যার লক্ষ্যই হল,অপুষ্টিতে ভুগছে এরকম গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিহ্নিত করে ওই সব এলাকায় স্বাস্থ্ সুরক্ষায় সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণ করা। যাতে শিশু মৃত্যু ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।

advertisement

রাজ্যের মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে দুই সরকারি দফতর কীভাবে কাজ করবে,  তার একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৫০ হাজার আশা কর্মী, এক লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ২০ হাজার অক্সিলারি নার্স রয়েছে,  যাঁরা এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে এক সঙ্গে এই প্রকল্প রূপায়ণে কাজ কবে। কাজের সুবিধার জন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্তরেই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা যৌথভাবে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা চালিয়ে চিহ্নিত করার কাজ করবে। নারী ও  শিশু কল্যান দফতরের নিজস্ব একটি পোর্টাল রয়েছে ‘সুপুষ্টি’। আবার স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব পোর্টাল রয়েছে ‘মাতৃমা’। দুই পোর্টালই একই রকম সরকাকি কর্মসূচি রূপায়ণের তথ্য পরিবেশন করে। যেহেতু সরকারি তথ্য দু'রকম না হয় একই তথ্য যাতে দু’জায়গায় পাওয়া যায় তার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়ার তৈরির কথা বলা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি অনেকটাই দূর হবে বলেই মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ মহল।

advertisement

নবান্নর নির্দেশ প্রতি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাসে অন্তত একবার নিজেদের মধ্যে বসে কর্মসূচি পর্যালোচনা করতে হবে। কোনও জায়গায় মা ও শিশুদের অপুষ্টির ঘটনা বেশি নজরে হলে তাকে বিপদজ্জনক এলাকা বলে চিহ্নত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে হবে। ব্লক ও জেলাকেও নিয়মিত হাবগুলিকে নজরদারি করতে হবে।

Somraj Bandopadhyay

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় 

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Nabanna: নবান্নের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, একটি বিশেষ কর্মসূচিতে একইসঙ্গে কাজ করবে স্বাস্থ্য দফতর ও নারী-শিশু কল্যাণ দফতর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল