প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে আট থেকে দশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে যুক্ত করে একটি হাব করা হবে। যেখান থেকে এই প্রকল্প রূপায়ণ করা হবে। যার লক্ষ্যই হল,অপুষ্টিতে ভুগছে এরকম গর্ভবতী মা ও শিশুদের চিহ্নিত করে ওই সব এলাকায় স্বাস্থ্ সুরক্ষায় সরকারি কর্মসূচি রূপায়ণ করা। যাতে শিশু মৃত্যু ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা যায়।
advertisement
রাজ্যের মুখ্যসচিব ইতিমধ্যেই মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে দুই সরকারি দফতর কীভাবে কাজ করবে, তার একটি রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৫০ হাজার আশা কর্মী, এক লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ২০ হাজার অক্সিলারি নার্স রয়েছে, যাঁরা এক ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে এক সঙ্গে এই প্রকল্প রূপায়ণে কাজ কবে। কাজের সুবিধার জন্য প্রত্যেকের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্তরেই অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা যৌথভাবে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা চালিয়ে চিহ্নিত করার কাজ করবে। নারী ও শিশু কল্যান দফতরের নিজস্ব একটি পোর্টাল রয়েছে ‘সুপুষ্টি’। আবার স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব পোর্টাল রয়েছে ‘মাতৃমা’। দুই পোর্টালই একই রকম সরকাকি কর্মসূচি রূপায়ণের তথ্য পরিবেশন করে। যেহেতু সরকারি তথ্য দু'রকম না হয় একই তথ্য যাতে দু’জায়গায় পাওয়া যায় তার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড সফটওয়ার তৈরির কথা বলা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি অনেকটাই দূর হবে বলেই মনে করছেন নবান্নের শীর্ষ মহল।
নবান্নর নির্দেশ প্রতি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মাসে অন্তত একবার নিজেদের মধ্যে বসে কর্মসূচি পর্যালোচনা করতে হবে। কোনও জায়গায় মা ও শিশুদের অপুষ্টির ঘটনা বেশি নজরে হলে তাকে বিপদজ্জনক এলাকা বলে চিহ্নত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে হবে। ব্লক ও জেলাকেও নিয়মিত হাবগুলিকে নজরদারি করতে হবে।
Somraj Bandopadhyay
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়