রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়,বাড়ি তৈরি, কূপ খনন অথবা পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে নানা ধরনের প্রত্ন-নির্দশন মিলছে। নানা দেবদেবীর মূর্তির পাশাপাশি অনেক সময় অনেক ধরনের মুদ্রাও পাওয়া যায়। যেগুলি, বৌদ্ধ যুগ বা তারও আগেকার। আবার সেন বা মৌর্য আমলের মুদ্রাও বিক্ষিপ্তভাবে পাওয়ার খবর মিলেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কর্তাদের কথায়, মাটির তলা থেকে প্রাপ্ত এধরনের প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের মালিকা জমির মালিক নন। আইনমাফিক রাষ্ট্রই এর মালিক। কেউ কেউ এগুলি পেয়ে প্রশাসন, পুরসভা, পঞ্চায়েতকে জানায় না। আবার অনেকেই বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের নজরে আনেন। তখন স্থানীয় প্রশাসন থেকে তা সরাসরি যে সব সময় রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তাকে না জানিয়ে স্থানীয়ভাবে ভারতীয় জাদুঘর বা স্থানীয় কোনও সংগ্রহশালায় দিয়ে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন : সোনা, জমি, ট্রাক্টর, নগদ মিলিয়ে বোনের বিয়েতে ৮ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার পণ দিলেন চার ভাই! নেটিজেনরা হতবাক
প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করছে এরকম মানুষও তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় তা নিয়ে যান। এ নিয়ে প্রত্ন-নিদর্শন পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। মোটা টাকার ব্যবসা চলে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, এই বেআইনি ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা। রাজ্য সরকারই এগুলি সংরক্ষণ করতে চায়। বেহালায় রাজ্য সরকারের নিজস্ব মিউজিয়াম রয়েছে। সেখানে নানা যুগের মুদ্রা থেকে মূর্তি সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না...আরিফের থেকে দূরে মনের কষ্টে চিড়িয়াখানায় খাওয়াদাওয়া ছাড়ল তাঁর প্রিয় সারস
প্রশাসনের বক্তব্য, যে ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই প্রত্ন-নিদর্শন উদ্ধার হয়েছে তা তাঁরা ইচ্ছে মতো ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে পাঠাতে চাইলেও রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিকর্তার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজ্য সরকারের মাধ্যমেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামকে দিলে আপত্তি নেই। তা না হলে বেহালায় রাজ্য সরকারের মিউজিয়ামে রাখা যেতে পারে।সম্প্রতি এই নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।