পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট বলছে, ১০ জেলায় ৪০ শতাংশের বেশি টাকা পড়ে রয়েছে। এই জেলাগুলি হল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙ, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রতিটি জেলাকে জনসংখ্যার নিরিখে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়। পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে কেন্দ্র যা বরাদ্দ করে। এই টাকার বড় অংশ খরচের দায়িত্বে থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত।
advertisement
আরও পড়ুন: DA নিয়ে তোলপাড় চলছে বাংলায়, তা নিয়েই বড় ঘটনা সুপ্রিম কোর্টে! মন খারাপ প্রতিবাদীদের
নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক ৬০ শতাংশ টাকা খরচ হওয়ার কথা। একে শর্তাধীন তহবিল বা টায়েড ফান্ড বলা হয়। পানীয় জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পে এই টাকা খরচ করতে হয়। প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলাগুলিকে এই তহবিলের বরাদ্দ পেতে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জমা দিতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা খরচ হয় আনটায়েড বা নিঃশ্বর্তাধীন তহবিলে। সেক্ষেত্রে খরচে গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাধীনতা রয়েছে। তাদের এই বরাদ্দ অনুমোদন পেতে তাদের পছন্দ মতো প্রকল্প বছরের গোড়ায় নিয়ম করে জমা দিতে হয়। যা মূলত গ্রামীণ পরিকাঠমোগত বিকাশে খরচ করতে হয়। বেতন, প্রশাসনিক কাজে বা পরিবহণ সংক্রান্ত কাজে এই টাকা খরচ করতে পারে না। এলাকার সমষ্টিগত উন্নয়নের স্বার্থেই খরচ করতে হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারি চাকরির বিরাট সুযোগ, মন্ত্রিসভায় ঘোষণা মমতার! পাহাড় থেকে সমতল, সুযোগ সর্বত্রই
হাওড়া, আলিপুরদুয়ার, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা খরচ করে ফেলেছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা অবশ্য প্রায় ৬৫ শতাংশ টাকা খরচ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুর ১১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। খরচ করেছে মাত্র ৫৮ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। পঞ্চায়েত কর্তারা বলছেন,মুর্শিদাবাদ জেলায় আগের দফাতেই পেয়েছিল ৪৬৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। যার ১৯১ কোটি ১০ টাকা খরচ করতে পারেনি। জানুয়ারি মাসে পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মতো রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে আরও ১৬৬০ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। নতুন আর্থিক বছরের মধ্যে যা খরচ হওয়ার কথা। এই টাকা যাতে পড়ে না থাকে সেজন মুখ্যমসচিব জেলাশাসকদের আগাম পরিকল্পনা তৈরি করে অনুমোদন করিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যাতে টাকা বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিঙ, কালিম্পং কিছুই করেনি। এই দফায় মুর্শিদাবাদ পেয়েছে ১৪৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়