কিন্তু কেন হঠাৎ পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান? গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, আদিবাসী সম্প্রদায়ের উৎসব রয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতে তাঁদের কথা ভেবেই নবান্ন অভিযানের দিন পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। কলকাতায় আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'অপরাধ ক্ষমা করবেন...!' 'ত্রিপল-কাপড়' নিয়ে এবার মুখ খুললেন মনোরঞ্জন! যা বললেন বিধায়ক
advertisement
নবান্ন অভিযানের জন্য প্রাথমিকভাবে ৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক হয়েছিল। রাজ্যের একটি বড় এলাকা জুড়ে সেদিন জনজাতি সমাজের করম পুজো পালিত হবে। রাজ্যের পশ্চিমাংশ এবং উত্তরবঙ্গের জনজাতি সমাজের আবেগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিজেপি নবান্ন অভিযানের দিন পরিবর্তন করেছে। স্থানীয়ভাবে কার্যকর্তারা করম পুজোর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন চলো অভিযানে ‘চোরদের জেলে ভরো, মমতা গদি ছাড়ো’ দাবি নিয়ে লক্ষ লক্ষ বিজেপি কার্যকর্তা সামিল হবেন বলে দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ইস্যুতে আগামী সাত সেপ্টেম্বর বিজেপির তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয় প্রাথমিকভাবে। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় চলছে গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি বৈঠক। কিন্তু ৭ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় ওই দিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের করম উৎসবের জন্যই। আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল পিছিয়ে যেতে পারে বিজেপির নবান্ন অভিযান। দলীয় সূত্রে এমন সম্ভাবনার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। আজ রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হল।
আগামী ছয়, সাত ও আট সেপ্টেম্বর আদিবাসীদের উৎসব রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া সহ জঙ্গলমহলের একাধিক আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে। সে কারণেই নবান্ন অভিযানের দিনক্ষণ পরিবর্তন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বর। জঙ্গলমহল কিম্বা উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী। তাই উৎসবের মরশুমে যদি নবান্ন অভিযান করা হয় সেক্ষেত্রে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত দলীয় কর্মী সমর্থকরা অংশ নিতে পারবেন না। এই সমস্ত এলাকার বিধায়ক, সাংসদরাও আদিবাসীদের উৎসবে পাশে থাকতে পারবে না সেই আশঙ্কা করেই নতুন দিন ধার্য করল বিজেপি।