আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য কর্মীদের অনুমান, সাত তলা যে ফ্ল্যাটে সুবোধ কাজ করত সেখান থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই কথা মানতে নারাজ তার পরিবার ও আত্মীয় পরিজনরা। তাদের দাবি সুবোধকে খুন করা হয়েছে। তাই মৃত্যুর খবর তাদের প্রথমে গোপন করা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ ফোনে না পেয়ে তারা দেওদার স্ট্রিটের ওই ফ্ল্যাটে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে সুবোধকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গেলেও তাদেরকে মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। তাদের আরও অভিযোগ, বালিগঞ্জ থানার পুলিশ তাদের সকলকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘন্টা সেখানে বসিয়ে রেখে মাঝরাতে ছাড়া হয়।
advertisement
সুবোধের এক আত্মীয় দিলীপ যাদব দাবি করেন, তারা বুধবার সকালে মৃতদেহ দেখতে পান। তখন লক্ষ্য করেন মৃতদেহের বাঁ দিকে চোয়াল ও গলার মাঝে গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। দিলীপবাবুর দাবি, ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে সুবোধকে। যদি সে সাততলার ওপর থেকে পড়ত তাহলে শরীরের আঘাতের চিহ্ন অন্যরকম হত। সেই সন্দেহ থেকেই বালিগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে সুবোধ যাদবের পরিজনেরা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
SOUJAN MONDAL