দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) করা আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, বেআইনি ভাবে ওই মন্দিরটি গুড়িয়ে দিতে চাইছে ওই নির্মাণ ব্যবসায়ী৷ মন্দিরের জমি দখল করাই তার আসল উদ্দেশ্য৷
আরও পড়ুন: দিল্লির আদালতে শ্যুটআউটে নিহত গ্যাংস্টার জিতেন্দর গোগী আসলে কে?
জামিয়া নগরের ২০৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, 'মন্দিরের ধর্মশালাটি এক রাতের মধ্যে তড়িঘড়ি ভেঙে ফেলে তার জমি সমান করে ফেলা হয়েছে (Muslims Move Court to Save Temple in Delhi)৷ যাতে তা জমি মাফিয়া এবং নির্মাণ ব্যবসায়ীরা দখল করে নিতে পারে৷'
advertisement
গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেব দিল্লি পুলিশকে মন্দিরের বেআইনি দখলদারি আটকাতে নির্দেশ দিয়েছেন৷ ওই অঞ্চলে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
নুর নগরের ওয়ার্ড কমিটির আবেদনকারীরা আদালতে আরও জানিয়েছেন, ওই মন্দিরটি ১৯৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল৷ ডিডিএ লেআউট প্ল্যানেও ওই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে৷
আবেদনে জানানো হয়, ১৯৭০ সালে তৈরি হওয়া ওই মন্দিরে এতদিন কোনও বাধ, বিঘ্ন ছাড়াই পুজো এবং কীর্তন আয়োজিত হয়েছে৷ মন্দিরে পুজোর জন্য সাত থেকে আটটি বিগ্রহ রয়েছে৷ সেগুলি এখন দুষ্কৃতীরা সরিয়ে ফেলছে৷ আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গ করতেই অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী ওই মন্দির এবং তার ধর্মশালা ভেঙে ফেলছে৷ মন্দিরের জমিতে বহুতল তৈরি করে ফ্ল্যাট বিক্রি করার পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হচ্ছে৷
