এই ঘটনার দীর্ঘ বিচারপর্বের পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে পনেরো নম্বর অতিরিক্ত আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। সোমবার অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনালেন বিচারক। একইসঙ্গে তথ্য প্রমান লোপাটের ধারা থাকায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকার জরিমানা দেওয়ার-ও নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
২০১৩ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় পরেশনাথ সরকার ও উষারানি সরকারকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পরে মৃতদেহ দুটি একটি ঘরে বিছানা চাদর মুড়ে নিচের ঘরে দেহ দুটি রেখে দেয় অভিযুক্ত। অভিযোগ দেহ রেখে, ছেলে শোভন সরকার ঘুমিয়ে পড়ে ওই দিন। পরের দিন হটাৎ করে বাড়ির মধ্যে রাজমিস্ত্রী ডেকে চৌবাচ্চা তৈরি করার পরিকল্পনা করে শোভন। হটাৎ চৌবাচ্চা করার কথা শুনে সন্দেহ হয় ক্ষুড়তুত ভাইয়ের। সেই সময় কাকু-কাকিমাকে খুঁজে না পেয়ে ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেয় অভিযুক্তর কাকার ছেলে।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের জের! আটকে কোটি কোটি টাকা! "১০০ দিনের কাজ" নিয়ে বড় নির্দেশ নবান্নের
তদন্তে জানা যায়, পরিবারের সবাই পড়াশোনায় ভালো হলেও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল শোভন। মাঝে মধ্যেই পড়াশোনা নিয়ে কথা শুনতে হত বাবা ও মায়ের। শোভনের ধারনা ছিল পড়াশোনায় ভালো না হওয়ায় সম্পত্তির অংশীদারত্বের বঞ্চিত হতে পারে সে।এই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী মহম্মদ আকবর আলি মোল্লা জানান, অভিযুক্ত শোভন সরকারের বিরুদ্ধে বাবা ও মাকে নৃশংস ভাবে হত্যার অপরাধে বিচারে আদালত আসামিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড ও সাক্ষ্য প্রমান লোপাট করার প্রস্তুতি নেবার জন্য ভারতীয় দন্ডবিধির ২০১ ধারায় সাত বছরের জেল ও ২৫০০০ জরিমানা ধার্য করে আদালত।
Susovan Bhattacharjee