এই মামলায় এক যোগে ১৪ যটি পুরসভায় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল একাধিক নথি। মিলেছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাধিক পদে নিয়োগের ওএমআর শিট। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই এবার পুরসভার কর্তাদের তলব করতে চাইছে সিবিআই।
advertisement
সূত্রের দাবি, নথি খতিয়ে দেখার পর প্রাথমিক ভাবে বেশ কয়েকটি পুরসভাকে চিহ্নিত করেছে সিবিআই৷ সেখানে দুর্নীতির পিছনে কর্তাদের যোগসাজস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি, পুরসভার অন্দরের একাধিক বিভাগে কর্মরতদের একাংশেরও মদত রয়েছে। তেমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা৷ তাই এই বিষয়গুলি নিয়ে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পুরসভার এক্সজিকিউটিভ অফিসারদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় একযোগে কুড়িটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। যার মধ্যে রয়েছে ১৪টি পুরসভা। অভিযান চালানোর দিন চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দীর্ঘ কথা বলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে অ্যারেস্ট করুন!’, ব্যারিকেড ভেঙে এগোলেন নওশাদ, ভাঙড় যাওয়ার পথে তুমুল উত্তেজনা
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রমোটার অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফো জোনের অফিসে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই অভিযানে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর মেলে অয়ন শীলের অফিসে। সঙ্গে উদ্ধার হয় পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেই ইডির তরফে দাবি করা হয় পুরসভাগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।
কেন অয়ন শীলের অফিসে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর এবং নথি? ইডির দাবি ছিল, অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তার সংস্থা পুরসভায় কর্মী নিয়োগের বরাত পেয়েছিল। এরপরই প্রাথমিক অনুসন্ধান চালিয়ে ইডির দাবি এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতো লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রি হয়েছে। যা দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় কলকাতা হাইকোর্টের। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি।