কোচবিহারের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যেমন মনে করছেন, তিনি বর্ষীয়ান নেতা, তাঁকে অসম্মান করা হচ্ছে। যদিও দলের একাংশের বক্তব্য, দলের সিদ্ধান্ত সকলকে মানতে হবে। শীর্ষস্তরের আলোচনার প্রেক্ষিতেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই দলের সিদ্ধান্ত না মানলে অনাস্থা আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বনগাঁ পুরসভা ও এসডিও অফিসে। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে গত ৬ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। গত ৮ নভেম্বর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে গোপাল শেঠকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল ১৫ তারিখ পর্যন্ত।
কিন্তু গত ১৪ ই নভেম্বর বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেন। বুধবার বনগাঁ পুরসভার ২২ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে ১৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ৬ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের সই না করে তৃণমূলের জেলা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে ৯ জন কাউন্সিলর দলীয় সিদ্ধান্ত মতো চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন বনগাঁ পুরসভা ও বনগাঁ এসডিও অফিসে।
আরও পড়ুন: ফের আগুন জ্বলছে নেপালে! জারি কার্ফু…Gen Z-র সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ওলি-র সমর্থকদের
অন্যদিকে, কোচবিহার পুরসভার পদ ছাড়তে রাজি নন বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য জেলা সভাপতি নয়, সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে সরে যেতে বলুক। সূত্রের খবর, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অনুগামীরা ইতিমধ্যেই মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন এই বিষয়ে।
