সম্প্রতি, ১৯ শে ডিসেম্বর ভোট চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মৌখিক ভাবে তখনি সম্মতি দিয়েছিল কমিশন। আজ লিখিত ভাবে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সম্মতি জানাল কমিশন।
এদিকে, নতুন করে বালির ১৬ টি ওয়ার্ড কে বাদ দিয়ে হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট করতে হলে নতুন করে বিল পাশ করাতে হবে রাজ্যকে। বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবারই বিধানসভায় বিল পাশ করাতে চলেছে রাজ্য। কমিশনের এক কর্তা জানান,বালি পুরসভা নিয়ে সরকার লিখিত ভাবে জানালে তারা বালিকে বাদ দিয়ে সীমানা পুনর্বিন্যাস করবে। সেক্ষেত্রে, নির্ধারিত দিনে ভোট করা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন-লখিমপুর মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে, চক্ষুচড়কগাছ তদন্তকারীদের...
পুরভোটের দিন স্থির হলেও, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে কেন দেরি করছে কমিশন? এই প্রশ্নে রাজ্য সরকার ও কমিশন মনে করে ভোটের জন্য ঘোষনার পর ২৪/ ২৫ দিন সময়ই যথেষ্ট। সদ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে রাজ্যের উন্নয়ন ও রাস্তা ঘাট মেরামত, পানীয় জল, বাসস্থান তৈরির মত বেশ কিছু প্রাথমিক পরিষেবা বন্ধ ছিল। পুজোর পর সবে সে কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বহু প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ আবারও থমকে যাবে। তাই ন্যূনতম যে সময় দরকার তা হাতে রেখেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় কমিশন।
আরও পড়ুন-খালি পায়েই পদ্মশ্রী মঞ্চে, ‘বনের এনসাইক্লোপেডিয়া’ তুলসী গৌড়াকে কুর্নিশ জানাল ভারত...
এরই মধ্যে হাওড়া কর্পোরেশন থেকে বালি পুরসভার অধীন ১৬ টি ওয়ার্ডকে বাদ দিয়ে পরিস্থিতি অনুসারে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ড ও হাওড়া কর্পোরেশনের ৫০ টি ওয়ার্ডের নির্বাচন হবে। এদিকে, রাজ্য সরকারের পুরভোট নিয়ে ঘোষনার পরেই একলপ্তে সব মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভা ও কর্পোরেশনের ভোটের দাবিতে জনস্বার্থ বিজেপি মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। কিন্তু, মামলার দিকে শুধু তাকিয়ে না থেকে নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি।