করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হওয়ার পর থকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুলজায়া কৃষ্ণা রায়। ভাইরাসের আক্রমণে কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফুসফুসের। ফলে বিগত কয়েক দিন ধরেই কৃষ্ণা রায়ের ফুসফুস প্রতিস্থাপনের (Lung Transplant) কথা ভাবছিলেন চিকিৎসকেরা। খোঁজ চলছিল দাতার। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় সেই প্রতিস্থাপন দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রাজ্যের কোনও হাসপাতালেই ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরিকাঠামো না থাকায় কৃষ্ণা রায়কে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত কৃষ্ণা রায়কে অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি করোনামুক্ত হলেও তাঁর ফুসফুস ভীষণ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিগত ১০-১২ দিন ধরে তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাতেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর মধ্যেই চেন্নাই থেকে চিকিৎসকদের একটি দল এসে তাঁকে দেখে যান। চিকিৎসকেরা জানান, ফুসফুস প্রতিস্থাপন করেই তাঁকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তারপর থেকেই সেই প্রস্তুতি চলছিল। এরপর আজ তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, ৩ জুন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন। মুকুল রায়ের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যখন হাসপাতালে যান তখন হাসপাতালেই ছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। মুখোমুখি কথা হয় দু'জনের মধ্যে। শুভ্রাংশুকে অভিষেক বলেন, 'শক্ত থাকো। যে কোনও প্রয়োজনে পাশে আছি।' সেই সৌজন্যে অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছিলেন মুকুলপুত্র তা তিনি নানাভাবে প্রকাশও করেন। এরপর সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়।