নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ভাতা বাড়িয়েছেন। আগে যে কৃষকরা এই প্রকল্পে বার্ষিক ৫০০০ টাকা পেত এবার সেখান থেকেই মিলবে বার্ষিক ১০০০০ টাকা। তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করতে দেখা গেল মুকুল রায়কে। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতুলনীয় নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে কৃষকবন্ধু প্রকল্পকে সামনে নিয়ে এল। বার্ষিক ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। কৃষকদের কল্যাণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই ঘোষণা প্রকৃতার্থেই ছকভাঙা।"
advertisement
মুকুলের সেই ট্যুইট
কথায় বলে চেনা বামুনের পৈতা লাগে না, তাই বিজেপিতে থাকাকালীন অন্য সব নেতারা ট্যুইটারে তুমুল অ্যাক্টিভ থাকলেও মুকুল রায় সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপরতা দেখাতেন না। কারণ তিনি যেটা খেলতেন তাঁকে রাজনৈতিক পরিভাষায় বলে মাইন্ড গেম। তৈরি করতেন স্ট্রাটেজি। যদিও অভিযোগ বেশ কয়েক মাস, বিজেপি তাঁকে কাজেই লাগায়নি। সেই কারণেই চাণক্য ফের তৃণমূলে।ন
এদিকে তৃণমূল ফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে দলের প্রচারের কাজে সর্বাত্মকভাবে লাগানো হবে। আজই যুব তৃনমূলের নতুন ট্যুইটার হ্যান্ডেল তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ভিন রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। অসম, ত্রিপুরা, মনিপুর- সহ একাধিক রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলা হয়েছে দলের তরফ থেকে। এই অবস্থায় এক যাত্রা পৃথক ফল হবে কেন! কাজেই এবার ডিজিটাল দুনিয়াতেও সক্রিয় হতে দেখা গেল মুকুল রায়কে। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি প্রথম পোস্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কৃষক বন্ধু স্কিমের প্রশংসা করে। আগামী দিনে টুইটারে তিনি ঠিকই ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তা দেখতে মুখিয়ে থাকবে নেটিজেনরা।