মাস দুয়েক আগে সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুল রায়। গত ১১ মে থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দম্পতির চিকিৎসা চলছিল। মুকুল রায় সুস্থ হয়ে গেলেও সংকট কাটেনি কৃষ্ণাদেবীর। ফুসফুস ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর। চিকিৎসকরা তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ব্রেন ডেথ হয়েছে এমন ব্যাক্তির খোঁজ শুরু হয় কৃষ্ণা দেবীর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য। ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্যেই চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
advertisement
কৃষ্ণাদেবী চলে গিয়েছেন। কিন্তু যাওয়ার আগে একটি বড় ক্ষত জুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছেন। বলা যায়, তাঁর জন্যই ফের ঘরে ফিরেছেন মুকুল রায় ও কৃষ্ণা দেবীর পুত্র শুভ্রাংশু রায়। নিউজ এইট্টিন বাংলা-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ তে শুভ্রাংশু নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ধর্মীয় মেরুকরণ তাঁর মায়ের জীবনাদর্শ নয়। মায়ের জীবনের অন্তিম লগ্নে মায়ের দেখানো পথকে ই অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন শুভ্রাংশু। কৃষ্ণাদেবীকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর খোঁজ নিতেই ছুটে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কৃষ্ণা-মুকুলের খোঁজ রাখছিলেন প্রত্যহ। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করার দিনেও মুকুল রায়দের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ঝড়ে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গলায়। বলাই বাহুল্য আজ কৃষ্ণাদেবীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তৃণমূলের অন্দরে।