মুকুল আরও জানিয়েছেন, এই মামলায় বহু আগেই তাঁর নাম জড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মে মাস পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার বা তার বিরুদ্ধে কোনও প্রকার কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে আদেশ রয়েছে আদালতের। তবে ১১ মার্চের পরে অন্য কোনওদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে তিনি হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বিজেপির দিকে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং নদিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি জগন্নাথ সরকারের নাম এই খুনে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও বিজেপির বক্তব্য ছিল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন সত্যজিৎ।
সম্প্রতি এই খুনের ঘটনায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে দু’বার ভবানীভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ মতো তিনি সিআইডি জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারপরেই মুকুলকে খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকায় রাজনৈতিক চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, মুকুলকে যেহেতু পুরভোটে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের তরফে, তাই তাকে কলুষিত করতেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পুরভোটের আগে খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হচ্ছে।
সিআইডি সূত্রে খবর, মুকুল রায় হাজিরা দিলে তাঁকে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তৈরি করা হয়েছিল প্রশ্নমালা। এই খুনের ঘটনায় একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল।
সিআইডি'র এক কর্তা বলেন, " আইনজীবী মারফত পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি তাকে ফের ডাকা হবে কিনা কিংবা কবে ডাকা হবে সে বিষয়টি পরে জানানোবে।" তবে সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই আবার ডাকা হবে মুকুল রায়কে।
সুজয় পাল