সম্প্রতি সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) বলেছেন, গতবার ভোট ছিল তাই পুজো হয়েছে। এবার ভোট নেই তাই পুজো নেই। এ প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "আমার জানা নেই। পূজার বিধি অনুযায়ী পূজা হওয়া উচিত। ভোট দেখে পূজা করা ঠিক নয়। যারা পুজো করেছিলেন তাঁদের চিন্তা ভাবনা করা উচিত এটা। পুজো করতে আপত্তি নেই কয়েকজন মিলে পুজো করতেই পারেন। যেহেতু এবার বড় বড় পুজো হচ্ছে না, একটা হলের মধ্যে পুজো হলে ভালোই হবে। লোকজন দেখতে পাবেন।"
advertisement
হঠাৎ সব্যসাচী দত্তের এমন সোজাসাপটা কথায় যে দলে অস্বস্তি বেড়েছে, তা লুকনো গেল না। দিলীপ ঘো,এর দিকে সাতসকালে প্রশ্নটা ধেয়ে গেল, দল ছাড়ার ব্যাপারে কিছু আভাস আছে কি? এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,
"আমার জানা নেই কিছু।" গত বছর বিধাননগরের ইজেডসিসি-তে দুর্গাপূজা আয়োজন করেছিল বিজেপি। পুজোর উদ্যোক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তৎকালীন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্তরা। তারপর অনেক জল বয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বুধবার লখিমপুর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধি, যোগী সরকারের সঙ্গে ফের সংঘাতের সম্ভাবনা
ভোটে ব্যাপক ভাবে পযুদস্ত বিজেপি থেকে পদত্যাগের বাণ ডেকেছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে একসময়ে বহু তৃণমূল নেতা বিজেপিতে গিয়েছিলেন একদা। সেই মুকুল রায়ই তৃণমূলে যোগ দেন ফের। বিজেপি থেকে ঘরে ফিরতে থাকে মুকুল ঘনিষ্ঠ অনেক বিধায়কই। বাগদা থেকে আসেন বিশ্বজিৎ দাস। স্বভাবিক ভাবেই জল্পনা তৈরি হয় সব্যসাচী দত্তকে নিয়েই কারণ তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্ক সুবিদিত। এবার বিজেপির সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্যও যেন টের পাওয়া যাচ্ছে। বাকিটা সময় বলবে।