রাজ্যের চারদিকে সম্প্রীতির ছবি। দশমীর পরদিনই মহরম। বেশিরভাগ মণ্ডপেই প্রতিমা রয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে মেনে মহরমের দিন বিসর্জন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর কলকাতা। যদিও বিসর্জনের জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য আবেদন নেই এদিন। তবু নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চায়নি পুলিশ। তার মাঝেই দিকে দিকে বেরিয়েছে তাজিয়ার শোকমিছিল।
এমনই সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল গোপালনগর মসজিদে। মসজিদ লাগোয়া ৭৮ পল্লীর দীর্ঘদিনের দুর্গাপুজো । বরাবরই এলাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পুজোয় অংস নেন। পুজো কমিটির সদস্যরাও পা মেলান তাজিয়ায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ৭৮ পল্লীর পুজোর বিসর্জন হয়নি । ঠাকুর রেখেই তাঁরা অংশ নিলেন মহরমের শোকমিছিলে। পরস্পরের সঙ্গে সেরে নিলেন কোলাকুলি। এমনকি, পুজোয় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য মসজিদের কয়েকজনের হাতে স্মারকও তুলে দেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
advertisement
অহিংসা ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে এদিন মহরমে অস্ত্র ছাড়াই শোকমিছিল বের করেন সিউড়ির মানুষ। শুধু সিউড়ি নয়, আশপাশের গ্রামেও অস্ত্র ছাড়াই মিছিল হয়েছে। এদিন কাঁটাবনির মোড় থেকে সতেরোটি শোকমিছিল শুরু হয়। শহর পরিক্রমা করে তাঁরা। মিছিলের উদ্বোধন করেন সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। মহরমের জন্য শহরজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। অহিংসা বার্তা ছড়িয়ে দিতে এই প্রথম অস্ত্র ছাড়া মিছিল করেন সিউড়ির বাসিন্দারা। অস্ত্র ছাড়া মিছিল করে খুশি ধর্মপ্রাণ মানুষ।
উৎসব মানে শুধুই মেলা বা পার্বণ নয়। উৎসব মানে মানিয়ে নেওয়া। রাজ্যের দুই প্রান্তের এই দুই ছবি বুঝিয়ে দিল সবাইকে নিয়েই চলতে জানে বাংলা।