সাংসদদের প্রস্তাব মতোই এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় এই হল নির্মাণ করা হবে। একমাত্র দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাবকে মান্যতা দেয়নি। বাকি সব জেলাতেই শাসক ও বিরোধী সাংসদরা এই কর্মসূচিতে সম্মতি জানায়। কিন্তু প্রশাসনিক উদাসিনতায় একটা নির্মাণও শুরু করা যায়নি। নবান্ন সূত্রের খবর, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এই প্রকল্পের হাত ধরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে সুপারিশ মতো এক কোটি আট লক্ষ ও এক কোটি টাকা পেয়েছে। একটি কমিউনিটি হলের জমিও চিহ্নিত করাই হয়নি। কাজ কী করে হবে? প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংসদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ থাকলেও শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে মানসিক ভাবে অবস্থান করছে রাজনীতিতে। সেজন্যই কি পূর্ব মেদিনীপুরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলে কাজ নিয়ে গড়িমসি। প্রশ্ন উঠছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দোস্তি, আবার কুস্তিও', বাম-কংগ্রেসের 'মুখোশ' খুলে ফেললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘাটালের তৃণমূল সংসদ দেব সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এলাকায় শাসক দলের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন নবান্নকে জানিয়েছে, কমিউনিটি হল নির্মাণের জন্য সাংসদরে অনুমোদন পত্র পাওয়া যায়নি। সেজন্যই প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
আবার বীরভূমে ২ কোটি চার লক্ষ টাকায় ৩১ টি কমিউনিটি হল তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। জমি চিহ্নিত হয়েছে। মাত্র ১৭ হল নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকায় ২৪ টি কমিউনিটি হল নির্মাণে জন্য জমি চিহ্নিত করার পরও টেন্ডার ডাকার কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এই জেলার একজন সাংসদ আসন। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত। উত্তর দিনাজপুরও ৯ টি কমিউনিটি হলের জন্য ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা পেয়েও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। আবার মুর্শিদাবাদ পেয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। ৫টি কমিউনিটি হল নির্মাণের কথা। কিন্তু জেলা প্রশাসন নবান্নকে জানিয়েছে, জমি চিহ্নিত করা সত্ত্বেও সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্ভাচনের জন্য কাজ শুরু করতে পারেনি।
পূর্ব বর্ধমান ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা পেয়েও জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি। কলকাতার পার্শ্ববর্তী হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাও ব্যতিক্রম নয়। কোথাও হয়েছে কোথায়ও ডাকার প্রক্রিয়া চলছে। আবার পুরুলিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দেরিতে চলতি মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বরাদ্দ টাকা পাওয়া টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়