ইকবালপুরের একটি নার্সিংহোম থেকে সকালবেলা থানায় একটি ফোন যায়। সেই ফোনে বলা হয় একদিন বয়সের সদ্যোজাত কন্যা সন্তান প্রাণহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ডুয়েল কেবিনে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে একবালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাঁর দলবল নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন লাভলি সিং ২২ নম্বর ডক,নইস্টার্ন বাউন্ডারি,কলকাতার ২৩এর বাসিন্দা। ১৮ অক্টোবর প্রসবের জন্য ভর্তি হন ওই নার্সিংহোমের একটি ডুয়েল কেবিনে। মহিলাকে ৩০১ নম্বর শয্যায় রাখা হয়েছিল। ওই একই কেবিনে ৩০২ নম্বর শয্যায় স্বামী অজয় সিং ছিলেন। ১৯ অক্টোবর সকাল ৬:২০মিনিট নাগাদ কন্যা সন্তান প্রসব করে লাভলী। কন্যা সন্তান স্বাস্থ্যবান এবং সুস্থ জন্ম নেয়। ডাক্তার চন্দ্রানী ভট্টাচার্যের কথায় শিশুর কোন শারীরিক সমস্যা ছিল না। আজ সকালে অজয় চা আনতে কেবিনের বাইরে যায়। ফিরে আসার পর নার্স এবং আয়া জানায় তার কন্যা মৃত। প্রথমটায়,রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।যে হেতু আগের রাতে ঠিক মত ঘুম হয়নি তাই ,রাতের বেলা অজয় ঘুমিয়ে পড়েছিল।সকালে ঘুম থেকে উঠে আর কোনো ভাবে খেয়াল করেনি।তবে স্ত্রী লাভলি যে কন্যা সন্তান হওয়ার ফলে রীতিমত গুমড়ে ছিলেন,সেটা জানান।
advertisement
তাই বলে এত বড় কান্ড করে ফেলবে বুঝতে পারেননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর জিজ্ঞাসাবাদে, লাভলী জানায় মেয়ে তার পছন্দ ছিল না।তাই রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ বালিশ চাপা দিয়ে,একদিনের কন্যা সন্তানকে খুন করেছে সে।লাভলির কথা শুনে রীতিমত হতবাক হয়ে পড়েন পুলিশের লোকেরা এবং নার্সিং হোম কতৃপক্ষ। পুলিশ শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।ওই মায়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ।তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না,বলে জানায় পুলিশ।