মঙ্গলবার সকাল মক ড্রিল হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিএমওএইচ হাসপাতালের সম্পূর্ণ জিনিস খতিয়ে দেখেন। মুক্তিসাধন মাইতি জানান, '' অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্ট, বি এসএফ, এলএমও যে প্লান্টগুলি রয়েছে, সেগুলি সচল আছে। ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ মেশিন, আউটপুট মনিটর, ড্রাই রান করানো হয়েছে। এই রিপোর্ট আমরা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাব। মেডিসিনের সাপ্লাই আছে, অসুবিধা নেই। এই মুহুর্তে হাসপাতালে মোট ৫৮টি বেড রয়েছে। ১৮ টি সিসিইউ, ৩৯ টি মেল ও ১১ টি ফিমেল বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ৭৫০ টি বেডের ক্যাপাসিটি রয়েছে।"
advertisement
অন্যদিকে মক ড্রিল সম্পূর্ণ হয়েছে আরজি কর, মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে একজন করোনা রোগীকে স্ট্রেচারে বসিয়ে কিভাবে তাঁকে একের পর এক বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হবে, সেই বিষয়ও তাঁরা তুলে ধরেন। হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার ত্রিদীপ মুস্তাফি জানান, "আমাদের মাস্ক থেকে পিপিই কিট সবই পর্যাপ্ত রয়েছে কী না, দেখে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব যন্ত্র সচল আছে কী না, তাও পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা আরটিপিসিআর এবং র্যাপিট টেস্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষার সব ব্যবস্থাপনা থাকছে ২৪ ঘণ্টা। এই মুহূর্তে ৫০ টি বেড আরজি করে প্রস্তুত রয়েছে। তার মধ্যে ২০টি ভেন্টিলেটর বেড ও ৩০ টা এইচডইউ বেড। এছাড়াও ১১১ টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।"
চিনে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে ভাইরাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের পর মঙ্গলবারের এই মহড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের অন্যান্য শহরেও হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ‘মক ড্রিল’ হবে মঙ্গলবার। হাসপাতালে কোভিড মোকাবিলার সাজসরঞ্জাম প্রস্তুত আছে কি না, যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করবে মঙ্গলের মহড়া।