সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কি চমক থাকছে তা দেখার। ইতিমধ্যে সে পার্টি তালিকার নাম দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। তবে এর মধ্যেই টালবাহানা দেখা যাচ্ছিল দেবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। গত কিছু দিন ধরেই দলের হয়ে ভোটে না লড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দেব।
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
দিনকয়েক আগে ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফাও দেন সাংসদ। তারপরেই সোশ্যাল মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘সংসদে আমার শেষ দিন।’ এতেই অনেকের মনে হয়েছিল, ঘাটাল থেকে আসন্ন লোকসভায় দেব যে আর দাঁড়াতে চাইছেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে সরকারিভাবে সে বিষয়ে কোনও মুখ খোলেনি সাংসদ অভিনেতা। তারপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপরে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেব বলেন, “আবার হয়তো ঘাটাল থেকে লড়ব। দেব প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘দেব খুব বুদ্ধিমান ছেলে। ভাল ছেলে। তবে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলব না।’
প্রজাপতি সিনেমায় দেবের বাবার অভিনয় দেখা গিয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে সেই সিনেমা কলকাতার নন্দনে চলে নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল তর্জা। কিন্তু ওই সময় থেকেই দেব এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই মিঠুন চক্রবর্তী হাসপাতালে ভর্তি শুনে তাকে দেখতেও আসেন দেব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরে হাসপাতালে আসেন দেব। মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, এর আগের দিনও আমি বলেছিলাম যে, আমি চাইলেই যে বেরিয়ে যাব, বা ভোটে দাঁড়াব না, সেটা হবে না৷ দিদির মতামতও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে আজকে একটা কথাই বলব, ‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না’।