তাঁর দাবি, "তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ২১ তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু সেই সংখ্যাটা এখন অনেক বেড়ে গেছে। বিধায়করা যেমন রয়েছেন। সেই তালিকায় তৃণমূলের সাংসদরাও রয়েছেন।" গত সপ্তাহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফরের ফাঁকে নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছিলেন বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী।
advertisement
তাঁর সেই দাবি ঘিরে সেই সময় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। পাল্টা সেদিন তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম দাবি করে বলেন, "তাঁর সঙ্গেই নাকি যোগাযোগ রাখছেন খোদ মিঠুন নিজেই। শাসকদলের প্রথম সারির তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, 'মিঠুন দা-ই তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, যাতে দিদি রেগে না যান। তিনি নিজেই চাইছেন তৃণমূলের সঙ্গে গণ্ডগোল না করতে। কিন্ত কোনও বিশেষ কারণবশত বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁর নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার।"
ফিরহাদ হাকিমের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা মুখ খুললেন মিঠুন। বললেন,"আমি যে ২১ জন বিধায়কের কথা বলেছি, যাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, সেই তালিকায় উনিও ( ফিরহাদ হাকিম) রয়েছেন। আমি ব্যাকআপ ছাড়া কথা বলি না।"
কয়েকদিন আগেই নিউজ এইট্টিন বাংলার মুখোমুখি হয়ে পদ্ম শিবিরের তারকা নেতা মিঠুন বলেছিলেন, "তৃণমূলের বিধায়কদের পাশাপাশি সাংসদরাও অনেকেই আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছেন। দিল্লি নেতৃত্বের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই ওদের বিজেপিতে যোগদান করাব।"
আরও পড়ুন, কলকাতার তাপমাত্রা আরও একটু বাড়ল, আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন
আরও পড়ুন, যা রটেছিল, তা ঘটল না! প্রণবপুত্র নন, সাগরদিঘিতে দেবাশিসই তৃণমূলের ভরসা
তবে সেই তালিকায় আর কারা রয়েছেন, সেই তালিকা খোলসা না করলেও নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, "ক্যামেরা প্যান করুন, একটু জুম ইন, জুম আউট করুন। নিজেরাই বুঝে যাবেন কে কে আছেন সেই তালিকায়।"
