মহাগুরুর দাবি, লোভে পড়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে ফেলাতেই তাঁর ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে গিয়েছিল৷ আর সেই কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে৷
নিজে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অবশ্য অন্যান্য ডায়াবেটিসের রোগীদেরও পরামর্শ দিয়েছেন মিঠুন৷ এ দিন হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর মিঠুন বলেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে ভাববেন না যে মিষ্টি না খেলেই সুগার কমবে৷ খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করাটাই আসল৷
advertisement
ব্লাড সুগারের রোগীদের মিঠুনের আরও পরামর্শ, ইনস্যুলিনকে ভয় পাবেন না৷ ইনস্যুলিন সবথেকে নিরাপদ ওষুধ৷ ইনস্যুলিন নিলে আপনার শরীর ভাল থাকবে৷ আর খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন৷
মিঠুন অবশ্য এ দিন অকপটেই স্বীকার করেছেন, ভোজন রসিক হয়েই বিপদে পড়েছেন তিনি৷ নিজেই নিজেকে রাক্ষস বলেও মজা করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, আমি আসলে গ্রোগ্রাসে খাই৷ মুম্বাইতে, বেঙ্গালুরুতে যা যা পাই না এখানে এলেই খেয়ে নিই৷ তাতেই সুগার বেড়ে গিয়েছিল৷ আমার সমস্যা হয়েছে খাওয়াতে, আমি রাক্ষস৷
গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ফোন করে মিঠুনের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন৷ নিয়ম মেনে না চলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বকুনিও খেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিঠুন৷ মোদির সঙ্গে কথোপকথন প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, সব কথা তো বাইরে বলতে পারব না৷ তবে একটু বকা খেলাম৷
অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে মিঠুন অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ৷ তাঁর খুব গুরুতর সমস্যা হয়নি বলেও দাবি করেছেন মিঠুন৷ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘তা না হলে কি এত তাড়াতাড়ি ছাড়া পেতাম?’