'শেষ কবে ট্রেনে করে সফর করেছি মনে নেই। মনে হয় পঁচিশ বছর পর ট্রেনে চড়লাম। দারুন অনুভূতি হল'। বললেন মিঠুন চক্রবর্তী। ট্রেনে মিঠুন চক্রবর্তীর সফরসঙ্গী ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মিঠুনকে হাতের কাছে পেয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মেই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নজরে আসে দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে আমজনতার মধ্যে। মালদা এবং বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আবেদনে বালুরঘাটে একটি পুজোর উদ্বোধনও করেন দলের তারকা নেতা মিঠুন। এরপর সেখান থেকে সড়কপথে ফের মালদা।
advertisement
সেখানে বিজেপির কার্যালয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর মালদা স্টেশন থেকে রবিবার গভীর রাতে ফের দার্জিলিং মেল ধরে আজ, সোমবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছন মিঠুন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'উনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন আমার যত কষ্টই হোক উত্তরবঙ্গ যাব। উনি পুজো উদ্বোধনেরও কথা দিয়েছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তী কথা রেখেছেন। আমরা কৃতজ্ঞ'। মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য, 'আমি যে আশ্বাস দিই তা পালন করি। তবে পঁচিশ বছর পর আমাকে ট্রেনে সফর করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি সুকান্তদাকে ধন্যবাদ জানাই'।
আরও পড়ুন: প্রতারকদের 'টার্গেট' এবার রাজ্যের বিধানসভার 'এই' সদস্য! কে সেই 'বিধায়ক'? শোরগোল!
সুকান্ত মজুমদার এও বলেন,' দক্ষিণ দিনাজপুর প্রান্তিক জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা সেভাবে উন্নত হয়ে ওঠেনি। তবুও প্রচণ্ড কষ্ট করে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো একজন সুপারস্টার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার নির্দিষ্ট সমস্ত কর্মসূচিতে যেভাবে অংশ নিলেন তা সত্যিই আমাদের সকলের কাছে গর্বের বিষয়'। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি কিম্বা তাঁর অভিনয় জগতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আকাশপথ অথবা সড়কপথেই এতদিন সফর করতে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর নেতা তথা তারকা অভিনেতা 'বাঙালিবাবু' মিঠুন ট্রেন সফর প্রসঙ্গে বললেন, 'আই এনজয় ইট ভেরি মাচ'।