সোনিকা রহস্য মৃত্যুর তদন্ত সিট গঠন করেছিল টালিগঞ্জ থানা। মঙ্গলবার রাতে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বিক্রমের বয়ান রেকর্ড করে সিট ৷ রাত একটা চল্লিশ থেকে বিকেল চারটে গড়িয়ে চলে জেরা পর্ব ৷ বিক্রমকে তদন্তকারী অফিসাররা যে প্রশ্ন করেন তা হল-
- ২৮ তারিখ রাতে কোথায় কোথায় পার্টি বা হোটেলে গিয়েছিলেন?
advertisement
- মদ্যপান করেছিলেন?
- হোটেল থেকে বেরিয়ে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন?
- হোটেল থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে ১৫ মিনিট সময় লাগে
- সেখানে পৌঁছতে কেন সওয়া এক ঘণ্টা লাগল?
- সোনিকাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কেন ঘুরপথ ধরেছিলেন?
দুর্ঘটনাটি কী অবস্থায় হয়েছিল, মত্ত ছিল কি না? প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম গোটা বিষয়ে ধোঁয়াশা রেখে বলেন, ‘মনে পড়ছে না ৷’ দু’জনের ফোন ঘেঁটে ২৮ তারিখ দু’জনের লোকেশন খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল ৷
২৮ এপ্রিল রাত ৯.৩০ থেকে পরদিন ভোর ৩.৩০ অবধি একসঙ্গে ছিলেন সোনিকা-বিক্রম ৷ পার্ক স্ট্রিট-ক্যামাক স্ট্রিট-সুইনহো লেন-কসবা হয়ে তারপর দেশপ্রিয় পার্ক-রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রমের দেওয়া ঘটনাক্রমের বয়ানের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ৷ বিক্রমের মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সঙ্গে মিলছে অভিনেতার দেওয়া তথ্য ৷
রাজডাঙা মেন রোডে সুইনহো লেনেই বিক্রমের বাড়ি। সিসিটিভির রেকর্ড বলছে আধঘণ্টা বাড়ির নীচে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বিক্রম ৷ প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে বাড়ির নীচে আধ ঘণ্টা গাড়িতে কী করছিলেন সোনিকা-বিক্রম? সম্পর্কের টানাপোড়েন মেরামত করতেই কি আলোচনা করছিলেন দু’জন? নাকি সোনিকাকে নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বিক্রম ৷ তাতে কি রাজি হননি সোনিয়া ? তাই গাড়ি থেকে না নেমেই ফের গাড়ি ঘুরিয়ে সোনিকাকে বাড়ি ছাড়তে যান টেলিসিরিয়ালের জনপ্রিয় নায়ক ৷ উঠছে নানা প্রশ্ন ৷ অসমর্থিত সূত্রের খবর, গাড়িতে নাকি দু’জনের মধ্যে মন কষাকষির জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা ৷ তবে কি হাতাহাতি হয়েছিল বিক্রম- সোনিকার মধ্যে? বিক্রমের দেওয়া তথ্য যাচাই করতে তাদের দু’জনের বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ ৷
গতকাল বিক্রম বলেন, ২৮ তারিখ পার্কস্ট্রিটের মিক্স পাবের খোলা ছাদে আড্ডার পরিকল্পনা ছিল সোনিকা ও বন্ধুদের সঙ্গে ৷ কিন্তু বিক্রম ছাদে যাননি, তাহলে তখন বিক্রম কোথায় ছিলেন? উত্তর এখনও মেলেনি ৷ সেখান থেকে ক্যামাক স্ট্রিটের বার কাম রেস্ট্ররেন্টে রাম কেনেন ৷ দু’জনেই মদ্যপান করেন, সোনিকা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে সাড়ে নটায় এক পেগ মদ খেয়েছিলেন বিক্রম ৷ এরপর অন্য একটি হোটেলে চলে পার্টি ৷ সেখানকার সিসিটিভি ও মোবাইল ফুটেজে গ্লাস হাতে দেখা গিয়েছে বিক্রমকে ৷
ফের বয়ান বদল, ফুটেজে দেখতে পাওয়া গ্লাসে মদ নয় ছিল ঠাণ্ডা পানীয়, দাবি বিক্রমের
সিসিটিভি বলছে রাত ২.১৮ নাগাদ এজেসি বোস রোডের হোটেল থেকে বেরিয়ে যায় তারা ৷ এরপর সাড়ে তিনটে নাগাদ লেকমলের সামনে ঘটে দুর্ঘটনা ৷